মেসি জাদুতে মুগ্ধ দিবালা

খাদের কিনারায় থাকা আর্জেন্টিনাকে প্রায় একাই টেনে তুলেছেন লিওনেল মেসি। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় সাড়ে নয় হাজার ফুট উচুঁতে বৈরী পরিবেশে স্বাগতিক ইকুয়েডরকে নাকানি-চুবানি দিয়ে তুলে নিয়েছেন দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক। মেসি জাদুতে এখনো আচ্ছন্ন হয়ে আছে পুরো বিশ্ব। সময়ের সেরা এই ফুটবলারকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন সতীর্থ খেলোয়াড়, কোচ, প্রতিপক্ষসহ সাবেক গ্রেটরা।

মেসির মুগ্ধতা ছড়ানো এই নৈপুণ্যে মুগ্ধ তার জাতীয় দল সতীর্থ এবং জুভেন্টাস তারকা পাওলো দিবালা। মেসির কাছাকাছি থেকে এবং তার গোল বলের জাদু স্বচক্ষে দেখতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন দিবালা। দিবালা বলেন, 'মেসি জাদুতেই রাশিয়া বিশ্বকাপের মূলপর্বে যেতে পেরেছে আর্জেন্টিনা।'

বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় ১৯৭০ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব থেকে বাদ পড়ার শঙ্কা নিয়ে প্রতিকূল পরিবেশে স্বাগতিক ইকুয়েডরের বিপক্ষে খেলতে নামে নামে আর্জেন্টিনা। প্রতিপক্ষের পাশাপাশি অনুকূলে ছিল না এখানকার আবহাওয়াও। কিন্তু বিপদের সময় জ্বলে উঠলেন এই 'গ্রহের শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়' লিওনেল মেসি। তার একক নৈপুণ্যে রচিত হলো আর্জেন্টিনার অনন্য বিজয় কাব্য।

আর্জেন্টিনার বাঁচা মরার এই লড়াইয়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোল খেয়ে বসে মেসি বাহিনী। খেলার মাত্র ১ মিনিটে গোল করেন ইকুয়েডরের আক্রমণভাগের খেলোয়াড় রোমরিও ইবারা। কিন্তু এর পরই বদলে যায় আর্জেন্টিনার খেলার স্টাইল। দারুণ ছন্দে ডি-মারিয়ার পাসে ১১ মিনিটে ক্ষিপ্র গতিতে গোল পরিশোধ করেন মেসি। আক্রমণের পর আক্রমণ আর ছোট ছোট পাসে তছনছ হয়ে যায় ইকুয়েডরের রক্ষণভাগ। এরপর খেলার ২০ মিনিট ও ৬২ মিনিটে আরো দুটি দর্শনীয় গোল করে নিজের হ্যাট্রিক পূর্ণ করে মেসি। আর্জেন্টিনা ৩-১ গোলের বিশাল ব্যবধানের জয় নিয়ে নিশ্চিত করে রাশিয়া বিশ্বকাপের টিকিট।

অধিকাংশ ম্যাচে দর্শক হয়ে থাকা দিবালা বলেন, 'মেসিকে টিম মেট এবং এতো কাছ থেকে দেখতে পেয়ে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। মেসি একজন সত্যিকারের জাদুকর। রাশিয়া বিশ্বকাপে ভালো কিছু করারই প্রত্যাশা করছি।'

মেসির প্রশংসা করে করে আর্জেন্টাইন কোচ হোর্হে সাম্পাওলি বলেন, 'লিওনেল মেসির এমন কোনো দায় নেই যে, আর্জেন্টিনাকে তার বিশ্বকাপ এনে দিতে হবে। তার কাছে বরং ঋণ আছে ফুটবলেরই। ফুটবলের কাছে মেসি একটা বিশ্বাকাপের দাবিদার।

দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে সরাসরি রাশিয়া বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল, উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়া। আর পেরুকে বিশ্বকাপে আসতে হলে ওশিয়ানিয়া অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ডকে হারাতে হবে।