আবার ‘সেই’ দাবিতেই ফিরে যাচ্ছে বিএনপি!

নির্বাচনকালীন সহায়তা সরকারের দাবি ছেড়ে দিয়ে বিএনপি ২০১৪ সালে যে দাবিতে নির্বাচন বর্জন করেছিল, আবার সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতেই ফিরে যাবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জোট সরকারের আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ।

শনিবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে মওদুদ বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের দাবি তুলে আসছি। কিন্তু এটা নিয়ে নানারকম বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। তাই আমরা আর সহায়ক সরকারের কথা বলবো না।’

জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আয়োজিত ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘এখন থেকে আমরা সহায়ক সরকারের বদলে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানাব।’

নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব তুলে ধরতে ২০১৬ সালের ১৮ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া প্রখমবারের মতো নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করতে সহায়ক সরকারের প্রস্তাব তোলেন। এরপর থেকেই বিএনপি নেতারা সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে বলে দাবি জানিয়ে আসছেন। তবে এই সরকার কীভাবে গঠিত হবে, বা কিভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে, সে বিষয়ে দলটি কিছুই বলেনি।

তবে বিএনপি আবারও তার আগের দাবিতে ফিরে যাচ্ছে জানিয়ে মওদুদ বলেন, ‘সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওপর ক্ষমতা প্রয়োগ হবে। এতে জনগণ প্রতারণার শিকার হবে। শুধু তাই নয়, ইসির মাঠ পর্যায়ে কোন লোক নেই। তারা প্রশাসনকে কাজে লাগাবে। আর প্রশাসন মানেই প্রধানমন্ত্রীর আওতা।’

বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন চায়, এমন ঘোষণা দিয়ে মওদুদ জানান, সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তার প্রধান থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই। তিনি থাকলে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হবে না।’

এছাড়া ভোটের ৯০ দিন আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে এবং পূর্ণ ক্ষমতা দিয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীকে নামাতে হবে বলেও দলের পক্ষ থেকে দাবি জানান বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।