খালেদার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় মামলা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। শনিবার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে যাওয়ার পথে খালেদার গাড়ি চালিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় ফেনীতে অজ্ঞাত ২৫-৩০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

ফেনীর আদালত পরিদর্শক এ কে এম নজিবুল ইসলাম বাদী হয়ে বুধবার সকালে মামলাটি করেছেন। আসামিদের অজ্ঞাত উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়। এদিকে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে কক্সবাজার থেকে ফেরার পথে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের পেছনে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ ও বাস পোড়ানোর ঘটনায়। ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদ খান চৌধুরী জানিয়েছেন এদের মধ্যে এর মধ্যে বাস মালিক, চালক ও চালকের সহকারীও রয়েছেন।

মামলা সম্পর্কে তিনি বলেন, '২৮ অক্টোবর বিকালে ফেনীর মোহাম্মদ আলী বাজারে হামলাটি চালানো হয়েছিল। এতে গণমাধ্যমের গাড়িসহ অন্তত ৩০টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শনিবারের হামলার ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয়ের ২৫-৩০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের শনাক্ত করার কাজ চলছে। তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।'

ওসি আরও বলেন, 'মঙ্গলবারের বাস পোড়ানোর ঘটনায়ও দ্রুত মামলা করা হবে। সেই মামলায় আটকদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।'

প্রসঙ্গত, এর আগে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে শনিবার সন্ধ্যা ৭ টা ৪০ মিনিটে মিরসরাইয়ে খালেদার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। দুর্বৃত্তদের পাথর নিক্ষেপ করে যে গাড়ির কাঁচ ভেঙেছে, সেই গাড়িতে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার।

তারও আগে ফেনীর মহিপালে মোহাম্মদ আলী বাজারে একদল সশস্ত্র যুবক খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা চালিয়েছে। খালেদা জিয়ার গাড়ি পেরিয়ে যাওয়ার পরই তারা হামলাটি চালায়। এতে গণমাধ্যমকর্মী, বিএনপির নেতাকর্মীদের গাড়িসহ বহরের বেশ কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

পরে মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার গাড়িবহর কক্সবাজার থেকে ঢাকা ফেরার পথে ফেনীর মহিপাল ফিলিং স্টেশনের বিপরীত দিক থেকে অজ্ঞাত ২০/২৫ জন লোক গাড়িবহর লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে এবং গুলি ছোড়ে। এসময় গাড়িবহরের পাশেই দুটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছিল অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা। রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করতে গিয়ে মোট তিনবার হামলার শিকার হয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর।

এদিকে, শুরু থেকেই শনিবারের হামলায় ঘটনায় আওয়ামী লীগ জড়িত বলে অভিযোগ করে আসছে বিএনপি। তবে বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করে হামলার ঘটনায় তাদের দল বা কোনো অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীর জড়িত নয় বলে দাবি করছে আওয়ামী লীগ। এটিকে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে হিসেবে দেখছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।