আপনি পড়ছেন

রমজান মাস বছরের আর বাকি ১২টি মাসের মধ্যে সবচেয়ে বরকতময় মাস। রমজান মাসের প্রত্যেকটি দিন, প্রত্যেকটি মুহূর্ত মহান আল্লাহর নেয়ামতে পরিপূর্ণ। এ মাসে যে কোনো ভালো কাজের পুরস্কার সাধারন মাসের চেয়ে ৭০ গুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়। তাই উম্মতে মুহাম্মদীর উচিত রমজান মাসে বেশি বেশি দান-খয়রাত করা।

ramadan

রমজান মাসে হযরত মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অনেক বেশি দান করতেন বলে বর্ণিত আছে। বুখারী শরীফের হাদীসে এসেছে, ইবনে আববাস (র.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সমস্ত লোকের চেয়ে অধিক দানশীল ছিলেন। আর মাহে রমজানে যখন জিবরাঈল (আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন, তখন তিনি আরো বেশি বদান্যতা প্রদর্শন করতেন। জিবরাঈল (আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রামাযানের প্রত্যেক রাত্রিতে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন এবং তাঁর কাছে কুরআন পুনরাবৃত্তি করতেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিবরীলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে অবশ্যই কল্যাণবহ মুক্ত বায়ু অপেক্ষা অধিক দানশীল ছিলেন।’

অশ্লীল ভাষা ও মিথ্যাচার করা এ দু’টি কাজ অন্যতম জঘন্য পাপ। অশ্লীল ভাষা ও মিথ্যাচার আখিরাতে মহান আল্লাহর ক্রোধ তৈরি করবে। তাই হযরত মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই দু’টি পাপ থেকে তাঁর উম্মতকে সতর্ক করে দিয়েছেন।

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘যখন তোমাদের কারো সাওমের দিন হবে সে যেন অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ না করে ও হৈ-হট্টগোল না করে। আর যদি কেউ গালাগালি করে অথবা তার সাথে ঝগড়া করে তাহলে সে যেন বলে, আমি সায়েম (রোজাদার)।’

(বুখারী শরীফ)

আর রমজান মাসে মিথ্যা বলা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘যদি কোন ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলা এবং সেটার ওপর কাজ করা ত্যাগ করতে পারলো না, তাঁর পানাহার ত্যাগ করায় আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই।’

অর্থাৎ রোজা রাখার প্রয়োজন নেই।

আপনি আরও পড়তে পারেন

`রমজান' নেকী অর্জনের মাস

‘আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করা উচিত’

তারাবীহ নামাজ আদায়কারীর সব গুনাহ মাফ

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর