আপনি পড়ছেন

দীর্ঘদিন ধরে জাতিগত নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে। কিন্তু এই চুক্তির আওতায় শুধুমাত্র গত বছরের অক্টোবরে রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে আসা রোহিঙ্গাদেরই ফেরত নিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার।

bangladesh mayanmar arrangement signing 2017

বিরোধীদলসহ নানা মহলের আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে মিয়ানমার সফর করে সম্মতিপত্র সই করে এসে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী চুক্তিপত্রটি জনসম্মুখে প্রকাশ করেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই চুক্তির আওতায় ৯ই অক্টোবর ২০১৬ এবং এ বছরের ২৫শে আগস্টের পর থেকে যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে শুধু তাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার।’

১৯৯২ সালের চুক্তি অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার কথা থাকলেও কিছুৃ সংখ্যক রোহিঙ্গাকে গ্রহণ করার পর সে চুক্তি আর বাস্তবায়িত হয়নি। এমন অবস্থায় সেই চুক্তির অনুসরণে কেন চুক্তি হল, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমার ওই চুক্তি অনুসরণ করতে চায় বলে সেভাবেই করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোই এখন বড় বিষয়। এর খুঁটিনাটি, ত্রুটি-বিচ্যুতি, এটা-ওটা নেই, কেন নেই, এসব কথা বলে এখন লাভ নেই। তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে চেয়েছে। লোকগুলোর সেখানে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে, এখন এটাই বড় কথা।’

মন্ত্রী জানান, ‘আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠন এবং ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ চূড়ান্ত করা হবে। এরপর জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ এই চুক্তি বাস্তবায়নে কাজ করবে।’

আগামী দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবসান শুরু হলেও কবে নাগাদ শেষ হবে সে বিষয়ে কিছু নির্ধারণ করা হয়নি বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যৌক্তিক সময়ের মধ্যে প্রত্যাবাসন সম্পন্ন করতে দুইপক্ষ সম্মত হয়েছে।’

এ সময় সাংবাদিকরা ‘যৌক্তিক সময়ের’ ব্যাখ্যা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘শোনেন, প্র্যাকটিক্যাল ব্যাপারটা হল যে, এই রকম কোন টাইম ফ্রেম দিয়ে লাভ নাই।’

এই সফরে গিয়ে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষা, জ্বালানি, বাণিজ্যখাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেন মাহমুদ আলী। এছাড়া বাংলাদেশের উপহার হিসেবে রাখাইন রাজ্যের জন্য তিনটি অ্যাম্বুলেন্স মিয়ানমারের সমাজসেবা, ত্রাণ ও পুর্নবাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করেন তিনি।

শনিবার প্রকাশিত চুক্তিপত্র অনুযায়ী বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যকার ওই চুক্তিটিকে একটি 'সমঝোতা চুক্তি' বা 'এমওইউ' হিসেবে উল্লেখ করা হলেও এটি আসলে তা নয়। এখন একে মূলত 'অ্যারেঞ্জমেন্ট' হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।

এছাড়া এই চুক্তির শর্ত মানার ক্ষেত্রেও আইনি বাধ্য-বাধকতা আছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। চুক্তি অনুযায়ী, গত ৯ই অক্টোবর ২০১৬ এবং এ বছরের ২৫শে আগস্টের পর থেকে যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে শুধু তাদের ফিরিয়ে মিয়ানমার।

এবারের চুক্তিটিও মিয়ানমারের ইচ্ছা অনুযায়ী ৯২-এর চুক্তির অনুসরণে করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর এই প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। মিয়ানমার যখন ভালো মনে করবে তখন এই সংস্থাকে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ায় যুক্ত করবে।

সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া আগামী দুইমাসের মধ্যে শুরু হবে। তবে এর শেষ কবে তা চুক্তিপত্রে উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়া সামনে আরও একটি চুক্তি সই হবে যেটিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মাঠ-পর্যায়ের বিষয় থাকবে এবং ওই চুক্তি বাস্তবায়নে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করবে।

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.