'মাদ্রাসা নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে'

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, 'বাংলাদেশের মানুষ স্বভাবগতভাবেই ধর্মভীরু কিন্তু কখনোই ধর্মান্ধ নয়। কোন ধর্মই সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে না। আমাদের আলেম-ওলামারা সহযোগিতা করলে এদেশ থেকে থেকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূল সম্ভব।'

শরীয়তপুর পুলিশ লাইন্স মাঠে জেলা পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশিং ওলামা-মাশায়েখ ফোরামের উদ্যোগে আজ রোববার 'জঙ্গিবাদবিরোধী ওলামা-মাশায়েখ সমাবেশে' প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি এ সময় আলেম-ওলামারাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।

সমাবেশে প্রধান আলোচক ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। আইজিপি বলেন, 'আমরা দেখেছি দেশে মাদ্রাসা নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে। তাদের সহযোগিতা করে ধনীর দুলালরা। এরাই জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত।' সমাজের অন্যায়-অবিচার দূর করতে আলেম-ওলামাদের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে এ সময় উল্লেখ করেন আইজিপি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, 'সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আলেম-ওলামারাদের অগ্রণী ভূমিকা প্রয়োজন। ইমামরা যদি মসজিদগুলোতে শুক্রবার জুমার খুতবায় জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের কুফল সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করেন তাহলে অনেকটা কাজ হয়ে যাবে। আপনারা যে যখন সুযোগ পাবেন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিবেন।’

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালে আমরা প্রতিবেশী দেশ ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলাম। ১৯৭৮, ১৯৯২, ২০১৬ সালে মিয়ানমার রোহিঙ্গা মুসলমানদের অত্যাচার করে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে বাধ্য করেছে। চলতি বছরও তারা ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে।'

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমরা ১৬ কোটি মানুষ যদি খেতে পারি, তাহলে ১০ লাখ রোহিঙ্গাদের খেতে দিতে পারবো। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২ হাজার একর জমিতে রোহিঙ্গাদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।'

'জঙ্গিবাদবিরোধী ওলামা-মাশায়েখ সমাবেশে' সভায় সভাপতিত্ব করেন শরীয়তপুরের জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- শরীয়তপুর-১ আসনের সাংসদ বিএম মোজাম্মেল হক, সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নাভানা আক্তার, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অ্যাডিশনাল আইজি মোহা. শফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মাহবুবা আক্তারসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।