প্রধানমন্ত্রীর হাতের ঢালাইয়ে পারমাণবিক যুগে বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর হাতের ঢালাইয়ে উদ্বোধন হলো রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ হাতে ঢালাই দিয়ে প্রকল্পের মূল কাজের ‘রিঅ্যাক্টর বিল্ডিং’ উদ্বোধন করেন।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী বিমানে করে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প এলাকায় পৌঁছান। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে প্রকল্পের উদ্বোধন উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আগামী ৫ বছর পর এ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। দুই ইউনিটের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ২৪শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।

রাশিয়ান রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন (রসাটমের) নেতৃত্বে বর্তমানে ১ হাজার ৬২ একর জায়গার ওপর প্রকল্পের বিভিন্ন কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।

প্রকল্প ব্যয়: সংশ্লিষ্টরা জানান, এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির সার্বিক কার্যক্রম সরাসরি তদারকি করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৩ সালে শুরু হওয়া এ প্রকল্পে মোট ১ লাখ ১৮ হাজার ১৮০ কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।

ইতিমধ্যে ৫ হাজার ৮৭ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ হয়েছে প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ।

এখন চলছে দ্বিতীয় বা শেষ পর্যায়ের কাজ। আরও ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয় হবে এ পর্যায়ের কাজে। এরই অংশ হিসেবে আজ বিদ্যুৎ প্রকল্পের মূল স্থাপনার ‘রিঅ্যাক্টর বিল্ডিং (উৎপাদন কেন্দ্র)’ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হল।

প্রকল্পে যা যা থাকছে: এদিকে মূল প্রকল্প এলাকার বাইরে তৈরি হচ্ছে গ্রিনসিটি আবাসন পল্লী। ইতিমধ্যে তিনটি সুউচ্চ বিল্ডিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। আর সংশ্লিষ্ট এলাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ২০ তলা ১১টি বিল্ডিং এবং ১৬ তলা ৮টি বিল্ডিংয়ের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। ২২টি সুউচ্চ বিল্ডিং তৈরি হবে এ চত্বরে। এছাড়াও এতে থাকবে স্কুল-মসজিদ, মাল্টিপারপাস হলসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালে পাকিস্তানের আইয়ুব খানের সরকারের আমলে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের জন্য ২৬০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিলো। ওই জমি পর্যাপ্ত না হওয়ায় আরও ৯৯০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। নতুনভাবে অধিগ্রহণ করা ওই চরে পুরোদমে এখন চলছে মাটি ভরাটের কাজ।