'সত্য বলায় তারেকের বক্তব্য প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে সরকার'

তারেক রহমানের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘কিছু পাওয়ার জন্য নয়, দেশের মানুষকে কিছু দিতে কাজ করছেন তারেক রহমান।

তিনি বলেন,‘জিয়াউর রহমানের সেই রক্তই তারেক রহমানের গায়ে, আরাফাত রহমানের গায়ে সেই রক্তই ছিল। তারা নিজেরা কিছু পাওয়ার জন্য নয়, দেশের মানুষকে কিছু দেওয়ার জন্য কাজ করেছে। দেশের সম্মান বৃদ্ধির জন্য তারা বিভিন্ন ত্যাগ স্বীকার করেছে।’

গুলশানে নিজের কার্যালয়ে শনিবার রাতে তারেক রহমানকে নিয়ে লেখা তিনটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ সব সময় জিয়াউর রহমানকে ভালোবাসতো। তার পরিবারকে সবাই ভালোবাসে। এজন্য আমার দেশের মানুষের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ।’

তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, “মাঝে মাঝে তারেক রহমান যে বক্তব্যগুলো দেয়, সেই বক্তব্য থেকে সবাই বুঝতে পারে তারেক রহমান কতটুকু সত্য কথা বলছে। তার এ সত্য কথার জন্য তার বক্তব্য প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।’

আওয়ামী লীগের হয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর বিষয়ে কিছু মিডিয়ার সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘কতগুলো পত্রিকা অন্যায়ভাবে তারেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। যারা ওই মিডিয়াগুলো করছেন তাদের চরিত্রটা বিশ্লেষণ করে দেখবেন তারা কী জিনিস’।

ডেমোক্রেটিক পলিসি ফোরামের উদ্যোগে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমানকে নিয়ে রচিত তিনটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান হয়।

প্রকাশিত বইগুলো হলো- ‘তারেক রহমান ও বাংলাদেশ’, ‘তারেক রহমানের রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি’ এবং ‘দীপ্তিমান দেশনায়ক’। এগুলো লিখেছেন মাহবুবুর রহমান, সাইফুর রহমান ও সাইফুল ইসলাম।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরীর এ্যানির পরিচালনায় অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ ও বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বক্তব্য রাখেন।

এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, তাজমেরী এস ইসলাম, মামুন আহমেদ, তাহমিদা আখতার টফি এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল ইসলামসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

দলের পক্ষে স্থায়ী কমিটি সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, তরিকুল ইসলাম, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলের সিনিয়র নেতা ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।