চীনের সঙ্গেও সম্পর্ক জোরালো করতে চায় আ’লীগ!

ভারতের সাথে সুসম্পর্ক অনেক আগে থেকেই। তবে এবার ভারতের প্রধানতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত চীনের সঙ্গেও সম্পর্ক জোরালো করতে চায় আওয়ামী লীগ। কিন্তু এ সম্পর্ক গড়ার বিষয়ে সতর্কতার সঙ্গেই এগুচ্ছে দলটি।

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, সফররত চীনা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বৃহস্পতিবার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ের সুরমা হলে আলোচিত ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ওই বৈঠকে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা, বাসস ও বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিটিভির সাংবাদিকদের বাইরে অন্য কোনো গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

বৈঠক সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির, প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যরিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওছার।

বাংলাদেশে তিন দিনের সরকারি সফরে আসা চীনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী মন্ত্রী ওয়াং ইয়াজুনের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন, চীনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মহাপরিচালক জাং সুয়ে, পরিচালক হু জিয়াওদং, তান উই ও মি এবং ফু উইরাং।

তবে সাংবাদিকদের কাছে বৈঠক প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ বলেন, ‘এটা ছিল দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। তারা (চীন) আমাদের উন্নয়ন অংশীদার। উন্নয়নের নানা বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে।’

আগামী নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা ছিল শুধুমাত্র সৌজন্য সাক্ষাৎ। আমরা চীনে যাওয়ার পর তাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলাম। এখন তারা এসেছেন। এটা পার্টি টু পার্টি বৈঠক।’

সাংবাদিকদের না জানানো প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ বলেন, ‘তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোনো বৈঠক ছিল না এটি, তাই মিডিয়াকে ‘সেভাবে’ জানানো হয়নি। প্রেস রিলিজ দিয়ে দেয়া হবে।’

বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বৈঠকে আমরা নিশ্চিত করছি যে, আমরা এক চীন নীতির সম্পূর্ণ পক্ষে। তিব্বত ও তাইওয়ান চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে আমরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি।’

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘যেভাবে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক দৃঢ় হচ্ছে তা অচিরেই আরও মজবুত হবে। আর আওয়ামী লীগের সঙ্গে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির পার্টি টু পার্টি সম্পর্ক আরো সম্প্রসারিত হবে। এতে বাংলাদেশি জনগনের সঙ্গে চীনা জনগণের বিশেষ সম্পর্ক গড়ে উঠবে।’