বিএনপি এবার 'লাস্ট অ্যান্ড ফাইনাল' কর্মসূচি দিচ্ছে

গত ৫ জানুয়ারির পর কয়েকমাস রাজপথ উত্তপ্ত রেখেছিল দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি। এরপর আর রাজপথে সক্রিয় হতে পারেনি দলটি। তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনকে ঘিরে ফের রাজপথে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে তারা। বিএনপিপন্থি রাজনীতিকরা বলছেন, দেশের জনগণ বিএনপির সঙ্গেই আছে।

দলীয় নেতাকর্মীদের পরবর্তি কর্মসূচির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। বলা হচ্ছে, এটিই বিএনপির লাস্ট অ্যান্ড ফাইনাল কর্মসূচি। বিএনপি নেতা মওদুদ বলেন, 'এবার সময় বুঝে এবং উপযুক্ত সময়ে কর্মসূচি দেয়া হবে। যাতে করে আমাদের পিছিয়ে চলে যেতে না হয়। এটা হবে আমাদের চূড়ান্ত কর্মসূচি।'

রোববার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এসব কথা বলেন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আইনমন্ত্রী। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ হয় বিএনপি। সরকার পতনের দাবিতে লাগাতার অবরোধ এবং হরতালও ব্যর্থ হয়। বিএনপি নেতারা সরকার পতনের 'চূড়ান্ত' কর্মসূচির কথা বলেছিলেন।

সুবিধাজনক সময়ে ফাইনাল কর্মসূচি ঘোষিত হবে উল্লেখ করে মওদুদ বলেন, 'এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা মাঠে নামবো। বিএনপি যখন মাঠে নামবে, তখন গণআন্দোলন এবং দেশের মানুষের মধ্যে গণজোয়ার সৃষ্টি হবে। সেই জোয়ারেই ভেসে যাবে নৌকা।'

নির্বাচনের জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মওদুদ বলেন, 'নির্বাচনের জন্য আপনারা প্রস্তুতি নেন। সেই সঙ্গে কঠোর আন্দোলনের জন্যও প্রস্তুতি নেন।'

মওদুদ বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন যে সরকারের কথা বলেছেন সেটি সংবিধানে নেই। এ ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারতো। সবাইকে নিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারি। যদি তা মনে না করেন, তাহলে যতই অত্যাচার, নির্যাতন করেন না কেন, মামলা-হামলা দেন, নেত্রীকে অবরুদ্ধ করে রাখেন না কেন, একদিন জনগণের এই দাবি মেনে নিতে বাধ্য হবেন।'

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখনো শক্ত আছেন উল্লেখ করে মওদুদ বলেন, 'সেদিন আদালতে নেত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি চিন্তিত কি না? উনি আমাকে বললেন, 'আমি এসব পরোয়া করি না। এমনই শক্ত মনের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনিই এই মুহূর্তে দেশের সবচাইতে জনপ্রিয় নেত্রী।'

বিএনপির সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলীর মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন দলটির সভাপতি শফিউল বারী বাবু। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ আরো অনেকে।