‘ফেসটাইম’ প্রযুক্তিতে যেভাবে বেঁচে গেল একটি জীবন

সোফটাইম প্রযুক্তির কারণে বেঁচে গেলেন এক নারী। ওপুকোয়া কোয়াপং নামের ওই নারী খাদ্য বিজ্ঞানী যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরের একটি বাড়িতে একা থাকেন। তার বোন আদুমেয়া সাপোং থাকেন যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে। আইফোনের ভিডিও ফিচার ফেসটাইমে কথা বলার সময় স্ট্রোকে আক্রান্ত হলেও বোনের কারণে বেঁচে যান কোয়াপং।

ফেসটাইমে কথা বলার সময় বোন স্ট্রোক করেছে বুঝতে পেরে তার বোনেরা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। পরে সুস্থ হওয়ার পর কোয়াপং মনে করেন, প্রযুক্তির কারণেই তার জীবন বেঁচে গেছে। ফেসটাইম না হলে ভিন্ন কিছুও ঘটতে পারত।

ঘটনার দিনের বর্ণনা দিতে গিয়ে ওপুকোয়া কোয়াপং বলেন, ‘ভিডিওতে কথা বলার সময় আমার মুখে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করেন বোন সাপোং। সে জানায়, কথা বলার সময় আমার কণ্ঠও লেগে আসছিল। বিষয়টি আমাকে সে জানায় কিন্তু আমি বিশ্বাস করিনি।’

তিনি আরও বলছেন, আমি যে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছি, তা বুঝতেই পারছিলাম না। আমার অবস্থা যে কতোটা গুরুতর তাও ধারণা করতে পারিনি। কিন্তু অপর প্রান্তে থাকা বোন আমাকে দেখে বুঝতে পারছিল।

৫৮ বছর বয়সী কোয়াপং জানান, সেদিন দুপুরবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি বোন ফেসটাইমে কল করেছে। রিসিভ করার পর আমাকে দেখে বললো, তোমার মুখটা আগের মতো দেখাচ্ছে না। মুখে এক ধরনের পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। কথাও জড়িয়ে যাচ্ছে।

কোয়াপং বলেন, ‘বোনের এসব কথা আমি বিশ্বাস করিনি। মনে করেছিলাম, সে হয়তো মজা করছে। কিন্তু পরে তার কথাই সত্যি হয়েছে। তার পরামর্শ অনুযায়ী আমি ৯১১ নম্বরে ফোন করি। হাসপাতালে নেয়ার পর স্ক্যান করা হয়। এতে দেখা যায় আমার মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে গেছে। শরীরের বাম দিক অবশ হয়ে আসছে।’

তার বোন আদুমেয়া সাপোং বলেন, ‘শরীর খারাপ লাগছে শুনে আমি তাকে এসপিরিন খেতে বলেছিলাম। এসময় সে একটি গ্লাস হাতে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। কিন্তু কিছুতেই পারছিল না। এরপর আমি তাকে ফেসটাইম ভিডিওতে কল দিলাম। কল ধরতেই দেখলাম তার মুখ বাঁকা হয়ে আছে। আমি তখন ফোন রেখে তাকে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে বলি।’

সাপোং বলেন, ‘সে বিশ্বাস করছিল না বলে আমাদের আরেক বোনকে (তিনি একজন ডাক্তার) বিষয়টি জানায়। স্সেই বোনও আক্রান্ত বোনের একই অবস্থা দেখতে পান। তখন আমরা দু’জনেই তাকে জরুরি হেল্প লাইনে ফোন করে সাহায্য চাইতে বলি।’

তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেট ও প্রযুক্তির প্রচুর নেতিবাচক দিক রয়েছে। তারপরেও এই প্রযুক্তির কিছু ভালো দিকও রয়েছে। এর একটা ভালো উদাহরণ হতে পারে এটি।’

সূত্র: বিবিসি