জন্ডিস রোধে আদর্শ খাবার

প্রতিদিনের খাবারে পরিমাণমত পুষ্টি গ্রহণ না করলে আপনার শরীরে দানা বাঁধতে পারে নানা সমস্যা। এর মধ্যে জন্ডিস অন্যতম। সুতরাং জন্ডিসে আক্রান্ত হলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সঠিক খাদ্য তালিকা অনুসরণ করা। জন্ডিস রোগীদের শুধু ফ্যাটযুক্ত খাবার বর্জনই যথেষ্ট নয়, পাশাপাশি দরকার সঠিক খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করা। তাহলে এবার আসুন জেনে নিই, জন্ডিস প্রতিকারে কোন ধরনের খাবার ডাক্তারের ভূমিকা পালন করে।

ভিটামিন ‘সি’-র অন্যতম উৎস হচ্ছে টমেটো। এতে আরো রয়েছে লাইকোপিন এবং এন্টি অক্সিডেন্ট। যা লিভারের প্রতিটি কোষকে তেজোদীপ্ত করে তোলে। জন্ডিসের রোগীরা প্রতিদিন টমেটো জুসের পাশাপাশি খেতে পারেন আমলকী। ভিটামিন সি-র গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎস হিসেবে আমলকি খেতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। কাঁচা আমলকী অথবা শুকনো আমলকী জুস করে খেলে তা লিভারের জন্য অ্যান্টিবায়েটিক ঔষধের মত কাজ করবে। এটি লিভারকে পরিশোধন করতেও সহায়ক ভূমিকা রাখে।

পুদিনা পাতা পেট ফাঁপাজনিত সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি লিভার সচল রাখতেও বেশ কার্যকরি। প্রতিদিন দিনের শুরুতে চার থেকে পাঁচটি পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেলে জন্ডিস প্রতিকারে ভাল ফল পাওয়া যায়। পাশাপাশি খালি পেটে প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানির সাথে লেবুর পরিমাণ রস মিশিয়ে পান করলে পরিপাকতন্ত্র যন্ডিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে গেলে নিয়মিত আনারস খেতে পারেন। জন্ডিস থেকে আরোগ্য লাভের জন্য আনারস খুবই কার্যকর একটি ফল। লিভার পরিশোধনেও আনারস খুবই উপকারী। পাশাপাশি নিয়ম কিংবা অনিয়ম করে হলেও প্রতিদিন পান করতে পারেন আখের শরবত। পেঁপে, কলা, আপেল, মাল্টা দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় অবশ্যই রাখতে হবে আপনাকে। এ জাতীয় ফল জন্ডিস নিরাময়ে ঔষধের মত দ্রুত কাজ করে থাকে।

আপনি আরো পড়তে পারেন

বিয়ে কাটাবে মদের নেশা

চোখ দেখে রোগ নির্ণয়

দুধ-আনারস একসাথে মিলে বিষ হয়?