এবার চমকে দিলো সেনেগাল

রাশিয়া বিশ্বকাপের শুরু থেকেই চমক উপহার দিয়ে আসছে ছোট দলগুলো। মঙ্গলবার প্রথম ম্যাচে ল্যাটিন আমেরিকার পরশক্তি কলম্বিয়াকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে জাপান। ‘এইচ’ গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচটাতেও ঘটলো অঘটন।

এবার ইউরোপের জায়ান্ট পোল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছে সেনেগাল। স্পার্তাক মস্কো স্টেডিয়ামে পোলিশদের ২-০ গোলে হারিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপে স্বপ্নযাত্রা শুরু করেছে আফ্রিকার দলটি। দারুণ এই জয়ে নক আউট পর্বের জায়গা পাওয়ার দৌড়ে একধাপ এগিয়ে গেল সেনেগাল।

বিশ্বকাপের আট গ্রুপের ‘এইচ’ গ্রুপটাই ব্যতিক্রম যেখানে নেই কোনো চ্যাম্পিয়ন দল। এই গ্রুপের চারটি দলই প্রায় মাঝারি শক্তির। এরপরও গ্রুপের সবচেয়ে কম শক্তিধর মনে করা হচ্ছিল জাপান ও সেনেগালকে। অথচ দুই দলই হাজির হয়েছে চমক নিয়ে। জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছে তারা।

অবশ্য সেনেগাল চমক এবারই প্রথম নয়। ১৬ বছর আগে স্বপ্নের প্রথম বিশ্বকাপেই গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল আফ্রিকার দলটি। ওই আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে ১-০ গোলে হারিয়ে বিশ্ব ফুটবলে নিজেদের আগমনী বার্তা দিয়েছিল সেনেগাল।

দেড় দশকেরও বেশি সময় পর আফ্রিকার দেশটির বিশ্বমঞ্চে ফেরাটা কেমন হয় সেটাই দেখার অপেক্ষায় ছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। পোল্যান্ডকে হারিয়ে ফেরাটা স্মরণীয় করে রাখলো মানেবাহিনী। হারানো অতীত ফিরিয়ে আনতে দলটি কতটা মরিয়া সেটা বোঝা গোছে প্রথম ম্যাচে তাদের দাপুটে পারফরম্যান্সই।

‘এইচ’ গ্রুপের এই ম্যাচটা মহারণের তকমা পেয়েছিল। কারণটা অবশ্যই দলীয় লড়াই বলে নয়। বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা দু্ই ফুটবলার সামিও মানে ও রবার্ট লেভানডফস্কির দ্বৈরথই মস্কোর ম্যাচটার রোমাঞ্চ উঠিয়ে দিয়েছিল তুঙ্গে।

ধারণা করা হচ্ছিল এ যুগলের ব্যক্তিগত নৈপুণ্য প্রদর্শনই গড়ে দিতে পারে ম্যাচের ভাগ্য। কিন্তু এ মানিকজোড়ের দ্বৈরথ নয়, ম্যাচ নির্ধারণ হয়ে গেছে ফুটবল বিধাতার আশীর্বাদে। তা না হলে ৩৭ মিনিটে কেনই আত্মঘাতী গোল করে বসবে পোল্যান্ড।

ডি বক্সের বাইরে থেকে সেনেগালের নেওয়া শট সরিয়ে দিতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন পোলিশ গোলরক্ষক ভয়চেক সেজনি। কিন্তু বলটা থিয়াগো চিওনেকের পা লেগে পাল্টে ফেলে তার গতিপথ। পোলিশ গোলরক্ষক শুধু চেয়েই দেখলেন বল কীভাবে জালে জড়িয়ে গেল।

ম্যাচের ৬০ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় সেনেগাল। এবারো পোলিশরা গোল হজম করে নিজেদের ভুলেই। এম’বায়ে নিয়াং দেশের জার্সিতে উপহার দেন প্রথম গোল। নির্ধারিত সময়ের চার মিনিট আগে সেনেগালকে একটি গোল ফিরিয়ে দেয় পোল্যান্ড।

কিন্তু জেগোস ক্রিকোভিয়াকের গোলটা দলকে আশা দেখালেও সেটা ছিল ওই পর্যন্তই। সেনেগালের সঙ্গে প্রথমবারে সাক্ষাৎটা দুঃস্বপ্নের হয়ে থাকল পোলিশদের জন্য। ২৪ জুন দ্বিতীয় ম্যাচে সেনেগালের প্রতিপক্ষ জাপান। একই দিন কাজানে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবে পোল্যান্ড।