রাতে ফ্রান্স-ডেনমার্কের গ্রুপসেরা হওয়ার লড়াই

প্রথম দুই ম্যাচ জিতে শেষ ষোলো আগেই নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স। সে পথে অনেকটাই এগিয়েছে ডেনমার্ক। কিন্তু নির্ভার হওয়ার উপায় নেই ডেনিশদের। আজ গ্রুপপর্বের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে হারলে বিদায় ঘণ্টা বেজে যেতে পারে ডেনমার্কের।

অশনি সংকেতের সঙ্গে গ্রুপসেরা হওয়ারও হাতছানি আছে ডেনিশদের। আজ ফ্রান্সকে হারাতে পারলে ‘সি’ গ্রপের সেরা দল হিসেবে নক আউট পর্বে ওঠার সুযোগ আছে তাদের। কারণ দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে ডেনমার্ক।

ড্র করলে অবশ্য রানার্সআপ হিসেবে পরের রাউন্ডের টিকিট কাটতে পারবে তারা। আবার হারলেও দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে যেতে পারে ডেনিশরা। সেক্ষেত্রে তাদের অমঙ্গল কামনা করতে হবে অস্ট্রেলিয়ার জন্য, পেরুর বিপক্ষে যেন পূর্ণ তিন পয়েন্ট না পায় ক্যাঙ্গারুরা।

ছয় পয়েন্ট নিয়ে যথারীতি গ্রুপ টেবিলের শীর্ষে আছে ফ্রান্স। ম্যাচটা তাদের জন্য এক অর্থে ‘ডি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ক্রোয়েশিয়াকে এড়ানোর উপলক্ষ্য। সেলক্ষ্যে আজ রাতে ডেনমার্কের মুখোমুখি হচ্ছে ফরাসিরা।

ইউরোপের দুই পরাশক্তির মহারণের মঞ্চ মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়াম। বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় মাঠে নামছে দল দুটি। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে যে কোনো দুটি চ্যানেল তথা- বিটিভি, মাছরাঙা, নাগরিক টিভি, সনি সিক্স কিংবা সনি টেন ২।

এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ডেনমার্ক দলে পাচ্ছে না ইউসুফ পুলসেনকে। প্রথম দুই ম্যাচের হলুদ কার্ড দর্শক সারিতে পাঠিয়ে দিয়েছে এই ফরওয়ার্ডকে। তার পরিবর্তে শুরুর একাদশে ঢুকে যেতে পারেন আক্রমণভাগের আরেক সারথি মার্টিন ব্রাথওয়েট। বিশ্বকাপে এটাই হতে পারে তার প্রথম ম্যাচ।

ম্যাচটা ড্র করলেও গ্রুপসেরা হওয়ার সুযোগ আছে ফ্রান্সের। তাই ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশম চাইলে বেঞ্চটা একবার বাজিয়ে দেখতে পারেন। পল পগবা এবং ব্লেইসি মাতুদি দুজনের একজনকে বিশ্রাম দিতে পারেন তিনি। তেমন কিছু হলে একাদশে ঢুকে যেতে পারেন করেন্তিন টলিসো।

প্রথম ম্যাচে পেরুকে হারিয়েছিল ডেনমার্ক। পরের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ড্র। আর তাতেই দীর্ঘ ১৬ বছরের আক্ষেপ ঘোচানোর দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে ডেনিশরা। এ যাত্রায় ডেনমার্ককে আশা দেখাচ্ছেন টটেনহাম মিডফিল্ডার ক্রিশ্চিয়ান এরিকসন। দারুণ ছন্দে আছেন এই ফরওয়ার্ড। জাতীয় দলের হয়ে শেষ ২০ ম্যাচে ১৭ গোল করেছেন তিনি।

সাম্প্রতিক ফর্ম এবং স্কোয়াড বিচারে এ ম্যাচে এগিয়ে থাকবে ফ্রান্স। তা ছাড়া ফরাসিদের ওপর জয়ের ব্যাপারে নেই কোনো প্রত্যাশার চাপ। আরো একটা কারণে এগিয়ে থাকবে ফরাসিরা। ডেনমার্কের বিপক্ষে শেষ সাত ম্যাচের ছয়টিতেই জিতেছে তারা। তবে বিশ্বকাপে দুইবারের দেখায় একটি করে ম্যাচ জিতেছে উভয় দল।