খালি হাতেই পানামার বিদায়, প্রথম জয়ের স্বাদ তিউনিসিয়ার

প্রথমবার বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার আনন্দটা উপভোগ করতে পারলো না পানামা। রাশিয়া থেকে তাদের বিদায় নিতে হলো একেবারে খালি হাতে। মিশরের পর তারাই একমাত্র দল, যারা বিশ্বকাপে একটা পয়েন্টও পেলো না। অন্য দিকে বিশ্বকাপে ১৪তম ম্যাচ খেলতে নেমে প্রথম জয়ের দেখা পেলো তিউনিসিয়া।

গ্রুপ ‘জি’র এই দুই দলের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটা আসলে ছিলো কেবলই নিয়ম রক্ষার উপলক্ষ্য। কারণ এই ম্যাচের ফলের উপর তাদের পরের পর্বে যাওয়া বা না যাওয়ার কোনো কিছুই নির্ভর করেনি। এই গ্রুপ থেকে আগেই দুটি করে জয় নিয়ে পরের পর্ব নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড ও বেলজিয়াম। সুতরাং পানামা-তিউনিসিয়া মাঠে নেমেছিলো কেবল যতোটা সম্ভব সম্মান নিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করার উদ্দেশ্য নিয়ে।

সেই উদ্দেশ্য পূরণের পথে প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকা পানামা। ইয়াসিন মেরিয়াহর আত্মঘাতী গোলে ম্যাচ থেকে কিছু পাওয়ার পথ পেয়ে যায় বিশ্বকাপে প্রথম খেলতে আসা দলটি। কিন্তু আত্মঘাতে পিছিয়ে থাকার পরও দ্বিতীয়ার্ধে দুটি গোল দেয় তিউনিসিয়া এবং জয় দিয়েই বিশ্বকাপ শেষ করে তারা।

ম্যাচের প্রথমার্ধের ৩৩ মিনিটে পানামার হোসে লুইস রদ্রিগেজের শট ঠেকাতে তা নিজেদের জালে পাঠিয়ে দেন ইয়াসিন। ম্যাচটা দারুণ দাপট দিয়ে শুরু করলেও এই গোলে পিছিয়ে পড়ে তিউনিসিয়া। এইভাবে এগিয়ে যাওয়ার পর আক্রমণের ধার বাড়ায় পানামা।

কিন্তু পানামার এই অবস্থান বেশিক্ষণ টেকেনি। প্রথমার্ধে এক গোলে এগিয়ে থাকলেও ৫১ ও ৬৬ মিনিটে দুটি গোল হজম করতে হয় তাদের। ৫১ মিনিটে ওয়াহবি খাজরির অ্যাসিস্টে গোল করেন বিন ইউসেফ। তিনি পানামার গোলবারের ডানপ্রান্তে থাকা অবস্থায় খাজির পাস পান। সেখান থেকে বাঁ দিকে শট করে দেন তিনি এবং পেয়ে যান সমতা ফেরানো গোল।

প্রথম গোলে সহায়তা করা খাজরি নিজে করেন পরের গোল। এবার তাকে সহায়তা করেন ওসামা হাদিদি। এক গোলে পিছিয়ে থেকেও ২-১ গোলের লিড পেয়ে যায় তিউনিসিয়া। এরপর ক্রমেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে পানামা। বল দখলের লড়াইয়েও তাদেরকে দেখা যায় নিষ্প্রাণ। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তিউনিসিয়া।

প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে এসে পানামা হেরে গেলো তাদের তিন ম্যাচেই। অন্য দিকে পানামার তৃতীয় হারটা তিউনিসিয়ার জন্য এলো বিশ্বকাপের প্রথম জয় হিসেবে। এই জয়টা পেতে ১৪তম বার মাঠে নামতে হলো তাদের। বিশ্বকাপে আগে খেলা ১৩ ম্যাচের নয়টিতেই হেরেছে তিউনিসিয়া। বাকি চার ম্যাচে ড্র করতে পেরেছিলো তারা। এই জয় তিউনিসিয়াকে বিশ্বকাপে টিকিয়ে রাখতে না পারলেও তাদেরকে দিলো নতুন যুগের সূচনা।