আপনি পড়ছেন

কুরবানি মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বান্দার প্রতি এক ধরনের পরীক্ষা। আর এই পরীক্ষায় সফলভাবে উৎরে যাওয়ার মাধ্যমে বান্দা তাঁর উপাসকের নৈকট্য অর্জন করে। কুরবানি শুধুমাত্র আল্লাহর জন্যই হয়। এর প্রতিদানও আল্লাহ নিজ হাতে দান করেন।

eid ul azha

একজন সামর্থবান মুসলমানের ওপর কুরবানি করা ওয়াজিব। এখন প্রশ্ন হলো সামর্থ্যবান মুসলমান কে? এই সামর্থ্যের পরিমাপ কী? দেখে নিন, সামর্থবান মুসলমান বলতে কাকে বুঝায়।

প্রথমত একজন প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর ওপরে কুরবানি ওয়াজিব হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে যে, ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ‘নেসাব’ পরিমাণ সম্পদের মালিক যিনি হবেন তাঁর উপর কুরবানী করা ওয়াজিব হবে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, নেসাব পরিমাণ সম্পদ কতোটুকু? নেসাব হচ্ছে, স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ আর রূপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন ভরি রূপা বা এই পরিমাণ সম্পদ। এক্ষেত্রে প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাড়ি, জমি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র হিসাব করা হবে।

কারও কাছে এককভাবে সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ কিংবা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রূপা না থেকে যদি অল্প অল্প করে সব মিলিয়েও সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ কিংবা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রূপার মূল্য হয় তাহলেও তাঁর ওপর কুরবানি ওয়াজিব হবে।

কুরবানি ওয়াজিব হওয়ার জন্য নেসাব পরিমাণ সম্পদ কারও কাছে পুরো বছর থাকা আবশ্যক নয়। বরং কুরবানীর তিন দিন অর্থাৎ ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত এর মধ্যে যে কোনো দিন থাকলেই কুরবানী ওয়াজিব হবে।
(রদ্দুল মুহতার ৬/৩১২)

 

আপনি আরও পড়তে পারেন

আল্লাহর নিকট গোশত নয়, পৌছায় বান্দার তাকওয়া

কুরবানি আল্লাহর প্রতি ইবাদত

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর