অন্য বন্দিদের বিক্ষোভের মুখে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে নওয়াজকে

দুঃসময় যেন পিছু ছাড়ছে না পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের। আদালতের রায়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ হারানোর পর এখন দুর্নীতি মামলায় কারাগারে। আর সেই কারাগারেও বিপাকে পড়েছেন তিনি। পড়েছেন অন্য বন্দিদের বিক্ষোভের মুখে।

বৃহস্পতিবার সকালে আদিয়ালা কারাগারে নিজের কারাকক্ষ থেকে বেরিয়ে একটু পায়চারি করছিলেন নওয়াজ শরীফ। এসময় তাকে দেখেই বিক্ষোভ করতে থাকেন অন্য কারাবন্দিরা। এর পর পরই তার চলাফেরা সীমিত করে ফেলা হয়। তাকে কারাগারের মসজিদে নামাজ পড়তে না দেয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

কারা সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য ডন জানায়, নওয়াজ এবং তার মেয়ে মারইয়ামকে শিহালা রেস্ট হাউজে সরিয়ে নেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে কারা কর্তৃপক্ষ। এটি শিহালা পুলিশ কলেজ চত্বরে অবস্থিত।

দণ্ড মাথায় নিয়ে নওয়াজ ও তার মেয়ে দেশে ফেরার সময়ই ১৩ জুলাই বাংলোটিকে সাব-জেল ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে ইসলামাবাদ ক্যাপিটাল টেরিটরি (আইসিটি) প্রশাসন ওইদিন বিমানবন্দর থেকে বাবা-মেয়েকে গ্রেপ্তার করে আদিয়ালা কারাগারে নিয়ে যায়।

ইতোমধ্যে বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের একটি টিম শিহালা রেস্ট হাউজ পরিদর্শন করেছেন। নতুন করে বাংলোটির রঙ করা হয়েছে। দেয়ালে সাঁটানো হয়েছে ছবি। দুই বন্দিকে দুটি বেড, দুটি চেয়ার ও একটি টেবিল দেয়া হবে। সাবেক প্রেসিডেন্ট পিপিপি নেতা আসিফ আলী জারদারিসহ অনেক রাজনীতিক অতীতে এখানে কারা জীবন পার করেছেন।

এভেনফিল্ডের দুর্নীতি সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নওয়াজ ও তার মরিয়মকে দোষী সাব্যস্ত করে পাকিস্তানের আদালত। নওয়াজকে ১০ বছর এবং মরিয়মকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের জন্য বাবা নওয়াজ শরীফের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলেও এটিকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে অভিহিত করায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় মেয়ে মরিয়মকেও।