তুরস্ককে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান না দিলে ফেঁসে যাবে যুক্তরাষ্ট্র!

তুরস্ককে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান প্রকল্প থেকে বাদ দেয়ার যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস। এতে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান তৈরিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হতে পারে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।

নিজের উদ্বেগের কথা জানিয়ে গত ৭ জুলাই সিনেট এবং হাউজ অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটিকে একটি চিঠি দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এই চিঠির বিষয়টি শুক্রবার জানতে পারে তুর্কি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি। এতে ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট’ হিসেবে পরিচিত প্রতিরক্ষা বাজেট নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

ম্যাটিস চিঠিতে লিখেন, ‘এই সময়ে আমি তুরস্ককে এফ-৩৫ প্রকল্প থেকে সরিয়ে দেয়ার বিরোধিতা করছি। তুরস্ক একটি ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্র। তারা ২০০২ সাল থেকে এই প্রকল্পে অংশ নিচ্ছে, ১.২৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। তারা সরবরাহ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে ভূমিকা রাখছে এবং ১০০টি এফ-৩৫ তৈরিতে সহযোগিতার পরিকল্পনা করছে।’

তুরস্ককে সরিয়ে দিলে সরবরাহ প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে এবং নির্মাণ ব্যয় বেড়ে যাবে জানিয়ে তিনি লিখেন, ‘যদি আজ তুরস্ককে এই বিমান সরবরাহ করা না হয়, এতে এই বিমান উৎপাদনের প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। কারণ বিভিন্ন যন্ত্রাংশের নতুন উৎস খুঁজে বের করতে দেড় থেকে দুই বছর সময় লাগবে, এতে ৫০-৭৫টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান হস্তান্তর বিলম্বিত হতে পারে।’

প্রসঙ্গত, তুরস্ক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান প্রকল্পের সঙ্গে ১৯৯৯ সাল থেকে জড়িত। এই বিমানের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরিতে তুরস্কের বেশ কয়েকটি প্রতিরক্ষা শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।

কিন্তু রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার চুক্তি করায় তুরস্কের কাছে এফ-৩৫ বিক্রি নিষিদ্ধ করে সম্প্রতি সিনেটে বিল পাস করে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিনিধি পরিষদেও একই ধরনের একটি বিল পাস হয়েছে। দুটি সমন্বয় করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এতে সই করলে তা আইনে পরিণত হবে।