মেসি-সুয়ারেজদের পথে হাঁটলেন কুতিনহো

তারকা ফুটবলারদের জন্য দ্বৈত নাগরিকত্ব নেয়াটা নতুন কিছু নয়। লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজদের পর এবার ভিন্ন দুটি দেশের নাগরিকত্ব পেলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ফিলিপ্পে কুতিনহো। শুক্রবার পর্তুগালের নাগরিকত্বের সনদ নিয়েছেন বার্সেলোনা মিডফিল্ডার।

কুতিনহোর দ্বৈত নাগরিকত্ব সুবিধা নেয়ায় সবচেয়ে বড় লাভটা হয়েছে বার্সেলোনার। স্প্যানিশ ফুটবলে লিভারপুলের সাবেক তারকার ভবিষ্যৎ নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছিল। কারণ ইউরোপের বাইরের মাত্র তিনজন খেলোয়াড় দলে টানতে পারবে স্প্যানিশ কোনো ক্লাব।

কুতিনহোসহ নিবন্ধনের সংখ্যাটা সাতে নিয়ে গিয়েছিল বার্সেলোনা! এই দলবদলের বাজারেই আর্থার, ম্যালকম ও ভিদালকে দলে টেনেছিল কাতালান ক্লাবটি। এছাড়া স্কোয়াডে আগে থেকেই ছিলেন সান্তোস, ডগলাস, রাফিনহা ও ইয়েরি মিনা।

শেষেরজনকে গত জানুয়ারিতেই কিনেছিল বার্সেলোনা। সংকট নিরসনে তাই গতকালই নু ক্যাম্প ছেড়ে গেছেন কলম্বিয়ান সেন্টারব্যাক। মিনা পাড়ি জমিয়েছেন ইংলিশ ফুটবল ক্লাব এভারটনে। ডগলাসকে আবার তুর্কি ফুটবলে পাঠিয়ে দিয়েছে কাতালান ক্লাবটি। আর পাওলিনহোকে তো অনেক আগেই চলে গেছেন তার পুরনো ঠিকানা চীনা ফুটবলে। সান্তোস এবং রাফিনহাকেও ছেড়ে দিতে হচ্ছে বার্সাকে।

তাতেও সংকট থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাচ্ছিল না বার্সা। কারণ দলে ইউরোপের বাইরের আরো চারজন আছেন- ভিদাল, কুতিনহো, আর্থার এবং ম্যালকম। কিন্তু এদের প্রত্যেককেই এই মৌসুমে দরকার বার্সেলোনার। কাতালান ক্লাবটিকে এ যাত্রায় উদ্ধার করলেন কুতিনহো। বার্সাকে সংকট থেকে মুক্তি দিতেই রোনালদো-ইউসেবিওর দেশ পর্তুগালের নাগরিকত্ব নিলেন তিনি।

ব্রাজিলিয়ান তারকার পর্তুগালের নাগরিকত্ব পাওয়ার সূত্র তার স্ত্রী। কুতিনহোর স্ত্রী পর্তুগিজ। তাদের দুজনের বিয়ের বয়স তিন বছর হয়ে গেছে। তাই আইন অনুযায়ী শ্বশুরবাড়ির নাগরিকত্ব নিতে পারেন এই ব্রাজিলিয়ান। সেটাই করেছেন তিনি। যেমনটা তার সতীর্থ সুয়ারেজ করেছেন।

জন্মভূমি উরুগুয়ে ছাড়াও আরেকটি দেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন সুয়ারেজ। স্ত্রীর সূত্রে সুয়ারেজ পেয়েছেন ইতালির নাগরিকত্ব। মেসি অবশ্য শৈশবকালেই স্পেনের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তবে সেটা জাতীয় দলের ক্ষেত্রে স্পেন নয়, আর্জেন্টিনাকেই বেছে নিয়েছেন তিনি। তাকে অবশ্য স্পেনের বয়সভিত্তিক দলে খেলাতে চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি দেশটির ফুটবলকর্তারা।

অবশ্য পর্তুগালের নাগরিকত্ব নিলেও কুতিনহোকে যে ওই দেশের হয়ে খেলতে হবে তা নয়। তাই ব্রাজিল ভক্তদের জন্য হতাশ হওয়ার কিছু নেই। পাঁচবারের বিশ্বসেরাদের হয়েই খেলে যাবেন এই তারকা মিডফিল্ডার। তবে কুতিনহো যদি চান, তাহলে ভবিষ্যতে রোনালদোর সঙ্গে মেরুন জার্সিতে খেলতে পারবেন।