উনিশেই এই অবস্থা...

কিলিয়ান এমবাপ্পে এই মুহূর্তে ফুটবলের বড় তারকা তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ফ্রান্সকে বিশ্বকাপে জেতাতে বড় অবদান ছিল তরুণ এই ফরোয়ার্ডের। পিএসজির হয়ে ক্লাব ফুটবলও খেলছেন দুর্দান্ত। অনেকে এমবাপ্পেকে আগামীর 'মহা-তারকা' হিসেবে কল্পনা করছেন। ফরাসি গণমাধ্যমের একটা অংশ এমবাপ্পেকে আগামীর লিওনেল মেসিও বলছে। কিন্তু আসলেই কি লিওনেল মেসির মতো মহা-তারকা হতে পারবেন এমবাপ্পে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে অনেক বছর অপেক্ষা করতে হবে।

তবে আন্দাজ করতে বললে অনেকেই হয়তো 'না' বলবেন। লিওনেল মেসি শুধু ফুটবলে নয়, অন্য বিষয়গুলো নিয়েও মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। শান্ত-শিষ্ট স্বভাব, মাঠে প্রতিপক্ষের সাথেও টু-শব্দটি না করা, আগ্রসনের ধারে কাছেও না যাওয়ার বিষয়গুলোও মেসিকে সকল প্রকার মানুষের মনে জায়গা করে দিয়েেছে। মেসির পুরোটাই যেন সৌন্দর্য্য। এমবাপ্পে কী সেখানে পৌঁছুতে পারবেন?

ফুটবল দিয়ে পারলেও আচোরণে হয়তো ব্যর্থ হবেন ফরাসি তরুণ! এমবাপ্পের খেলার ধরণটাই আগ্রসনে ভরা। তার মাঠের কার্যকলাপও প্রশ্নবিদ্ধ। চুপচাপ স্বভাবের হলেও একটুতেই রেগে যাওয়ার উদাহরণ অহরহ।

ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জেতার পর এমবাপ্পের 'অহম' বেড়ে যাওয়ার খবরও প্রকাশিত হয়েছে গণমাধ্যমে। এমবাপ্পের সঙ্গে ক্লাব সতীর্থ নেইমার ও দানি আলভেজের সঙ্গে মনোমালিন্যের খবর বেরিয়েছিল। কাল মাঠে বড়সড়ই রাগ দেখিয়ে দিলেন ফরাসি তরুণ।

নিমসের বিপক্ষে লিগ ওয়ানের ম্যাচ ছিল পিএসজির। ৪-২ গোলে পিএসজির জেতা ওই ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে লাল কার্ড দেখেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ৯৪ মিনিটে নিমসের ডিফেন্ডার তেজি সাভ্যানিয়ার এমবাপ্পেকে কড়া ট্যাকল করেন। ট্যাকলে পড়ে যাওয়ার এমবাপ্পে উঠে দাঁড়িয়েই ধাক্কা দিয়ে বসেন সাভ্যানিয়ারকে। মাটিতে পড়ে যায় নিমস ফুটবলার। এই ধাক্কাতে সাথে সাথেই এমবাপ্পেকে লাল কার্ড দেখিয়ে দেন রেফারি। পিএসজির হয়ে এর আগেও লাল কার্ড দেখেছেন এমবাপ্পে।

কাল ম্যাচ শেষে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ফরাসি তরুণের সোজাসাপ্টা জবাব, 'না, আমি এটার জন্য (ধাক্কা দেওয়া) অনুতপ্ত নই। এবং আমার সাথে যদি এমন ঘটনা অাবার ঘটে আমি আবারও এটা করব। আমি সমর্থক এবং সবার প্রতি ক্ষমা চেয়ে নিব। কিন্তু আমি এমনটা (ট্যাকল) সহ্য করতে পারব না।'

বয়স মাত্র ১৯, এখনই এমন অবস্থা? এভাবে রেগে গেলে চলবে! মহা-তারকা হতে হলো তো এখনো বহু রাস্তা পাড়ি দিতে হবে।