জনগণের ভোটে আ. লীগ ক্ষমতায়, বিদেশিদের শেখ হাসিনা

উন্নয়নের কারণে জনগণ ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আবারো ক্ষমতায় বসিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমার সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের ফল জনগণ উপভোগ করেছে। তাই তারা আবারো আমাদের ভোট দিয়েছে।’

শেখ হাসিনা আজ সন্ধ্যায় গণভবনে বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের উদ্দেশে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে স্বচ্ছ, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য সবধরণের চেষ্টা করেছি। এজন্য ভোটাররা উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে ভোট দিতে পেরেছেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেও যখন দেখেছে নির্বাচনে হেরে যাচ্ছে এজন্য শেষ মুহূর্তে এসে ভোট বর্জন করেছে। সেই সঙ্গে তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবসন যেন সুন্দর স্বচ্ছ ও দ্রুততর হয় এজন্য বিদেশে সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান।

নির্বাচনের সময় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ এবং ধীরগতি বিষয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইন্টারনেট বন্ধ বা ধীরগতি করা হয়নি। এটা এমনিতেই ধীরগতি হয়েছে।’

বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ভিসা দিতে দেরি করার বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে জবাবে প্রধামনন্ত্রী বলেন, ‘তখন সবার নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হয়েছিল। তাছাড়া দেশেই অসংখ্য পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক রয়েছেন, এরপরও বিদেশি পর্যবেক্ষক এসেছেন। এরপরও ইসি চেষ্টা করেছে সবাইকে ভিসা দেয়ার। হয়তো সবাইকে সময়মত দিতে পারেনি। ’

পাশেই বসে থাকা প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম এ বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‌‌‘আনফ্রেল নামক একটি সংস্থা পর্যবেক্ষণে আসতে চেয়েছিল। ইসি সময়মত ভিসা দেয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু একটু দেরি হওয়ায় তারা যে ধরণের বিবৃতি দিয়েছে তা খুবই দুঃখজনক। আনফ্রেলের বাংলাদেশ চ্যাপ্টার হলো ‘অধিকার’। এ সংস্থার প্রধান যিনি তিনি বিএনপি আমলের অ্যাটর্নি জেনারেল আদিলুর রহমান।’

নির্বাচনের পর বিরোধীদের অভিযোগ সুষ্ঠুভাবে তদন্ত হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইসি সম্পূণ্ন স্বাধীন একটি সংস্থা। যেসব অভিযোগ আসবে সেগুলো তারা তদন্ত করে ব্যবস্থাগ্রহণ করবে।

বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের অভিযোগ বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচনের পর কয়েক ঘণ্টা পার হয়েছে। আমরা কিন্তু এখনো প্রতিপক্ষের সঙ্গে বিরূপ কোনো আচরণ করিনি। অথচ ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত আমাদের কর্মীদের মেরেছিল, নারীদের ধর্ষণ করেছে, বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছিল। আমাদের সংসদ সদস্য ও নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে।’

নির্বাচনের আগে সব দলের কথা শুনেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচনের আগে সবার সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাদের দাবি শুনেছি। যাতে তারা নির্বাচনে অংশ নেয়।’

তিনি আরও বলেন, বিএনপি নিজেদের দোষেই সাতটি আসন পেয়েছে। তাদের দুর্নীতি-সন্ত্রাসের কারণে ভরাডুবি হয়েছে।’

তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ‘ভোটে কোনো কারচুপি হয়নি। কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে কারচুপি হয়েছে তাহলে পুনরায় ভোট করতে তো আমাদের আপত্তি নেই।’