জেনে নিন চাইল্ডহুড ওবেসিটির নানা তথ্য

বাচ্চার স্বাস্থ্য নিয়ে অনেক মা-বাবাই চিন্তা করেন। তাঁরা মনে করেন বাচ্চা যত মোটা হবে সে ততই হেলদি। তাই ওবেসিটি সমস্যাটা অনেক বাবা মায়েরই নজর এড়িয়ে যায়। বাচ্চার অতিরিক্ত ওজন মানসিক এবং শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তাই খেয়াল রাখুন, উচ্চতার সঠিক অনুপাতে বাচ্চার ওজন বাড়ছে কিনা। নাহলে বুঝতেই পারবেন না কখন আপনার বাচ্চার ওবিস হয়ে যাবে।

কী করে বুঝবেন আপনার বাচ্চা ওবিস কি না

বাচ্চার ওজন মেপে দেখুন নিয়মিত। প্রত্যেক বয়সে শরীরের একটা নির্দিষ্ট ওজন থাকে। যদি বাচ্চার সেই নির্দিষ্ট ওজনের ২০% বেশি হয়, তাহলে বুঝবেন বাচ্চার ওবেসিটির সমস্যা রয়েছে। আপনার বাচ্চার মেটাবলিক ইনডেক্স যদি ৯৫ পার্সেন্টাইলের উপরে হয়, জানবেন বাচ্চা ওবিস গ্রুপে পড়ে।

কী করে ওবেসিটি আটকাবেন

• ৬ মাস বয়স পর্যন্ত বাাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ান। এতে ওবিস হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
• ব্যালেন্সড ডায়েটের ওপর নজর দিন। খেয়াল রাখবেন যেন ডায়েটে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল পরিমাণ মতো থাকে। কোনও কিছুরই আধিক্য যেন না থাকে, তা হলেই বাচ্চা ভালভাবে বেড়ে উঠবে।
• টিভি দেখতে দেখতে বাচ্চার চিপস, সফট ড্রিংক খাওয়ার অভ্যেসকে প্রশ্রয় দেবেন না।
• আউটডোর গেমস খেলতে বাচ্চাকে উৎসাহ দিন।
• বাড়িতে জাঙ্ক ফুড খাওয়ার অভ্যেস কমান। বাইরের খাবারের প্রতি বাচ্চার আকর্ষণ কমাতে বাড়ির খাবার সুন্দর করে সাজিয়ে-গুছিয়ে খেতে দিন।

সেকেন্ডারি ওবেসিটি

ওবেসিটি অনেক সময় হরমোনাল ইমব্যালেন্স থেকেও হয়ে থাকে, বিশেষ করে যাদের শরীরে থাইরয়েড হরমোনের পরিমাণ কম থাকে (হাইপোথাইরয়েডিজম) তাদের ওজন বাড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি হয়। কখনও কখনও জেনেটিক কারণে ওজন বাড়তে পারে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

বাচ্চার যখন সাইনোসাইটিস

তারুণ্য ধরে রাখতে যা করতে পারেন

নিমপাতার জুসের আশ্চর্য উপকারিতা