অভিজিৎ রায় হত্যায় ৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
- Details
- by নিজস্ব প্রতিবেদক
লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। সেই সাথে ১৫ জনকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিটিটিসির পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারীর আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন।
মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ২৫ মার্চ দিন ধার্য করেছে আদালত। মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে ৩৪ জনকে। আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
যে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে তারা হলেন- সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর (চাকরিচ্যুত) জিয়া, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আকরাম হোসেন ওরফে আবির, মো. মুকুল রানা ওরফে শরিফুল ইসলাম ওরফে হাদী, মো. আরাফাত রহমান ও শফিউর রহমান ফারাবি। তাদের মধ্যে জিয়া ও আকরাম পলাতক রয়েছেন।
যে ১৫ জনকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন- সাদেক আলী ওরফে মিঠু, মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান, আমিনুল মল্লিক, জাফরান হাসান, জুলহাস বিশ্বাস, আব্দুর সবুর ওরফে রাজু সাদ, মাইনুল হাসান শামীম, মান্না ইয়াহিয়া ওরফে মান্নান রাহি, আবুল বাশার, মকুল রানা, সেলিম, হাসান, আলী ওরফে খলিল, অনিক ও অন্তু।
মিঠু, তৌহিদুর, আমিনুল, জাফরান হাসান, জুলহাস, সবুর ও মাইনুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অব্যাহতির আবেদন করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। মান্না ইয়াহিয়া ও আবুল বাশার চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান। মকুল রানা খিলগাঁও এলাকায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। অপর পাঁচজন সেলিম, হাসান, আলী, অনিক ও অন্তের পুরো নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
আসামিদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ: মোজাম্মেল, আকরাম, হাসান ও আবু হত্যাকাণ্ডের দুই মাস আগে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে বাসা ভাড়া নিয়ে অভিজিৎ রায়কে বিভিন্ন স্থানে অনুসরণসহ হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়ন করেন। মোজাম্মেল রেকি টিমের নেতৃত্ব দেয়াসহ অপারেশন শাখার মকুলকে অনুসরণ ও হত্যাকাণ্ডের সার্বিক সহযোগিতা এবং আসামিদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন। আবু, আকরাম ও হাসান অভিজিৎ রায়কে হত্যার অভিপ্রায়ে অনুসরণ এবং রেকি করাসহ হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী আসামিদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন।
আরাফাত রহমান, আলী, অনিক ও অন্তু আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের অপারেশন শাখার সদস্য। সাংগঠনিকভাবে তাদের দায়িত্ব হচ্ছে টার্গেট ব্যক্তিকে হত্যা করা। তারা চারজনই অভিজিৎ রায়কে চাপাতি দিয়ে নির্মমভাবে কোপায়। অভিজিৎ রায়ের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাকেও কুপিয়ে বাম হাতের বৃদ্ধা আঙুল কেটে ফেলে এবং মারাত্মক আহত করে।
অপারেশন শাখার চার আসামি যাতে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করে নিরাপদে পালিয়ে যেতে পারেন সে জন্য আসামি মেজর জিয়া, সেলিম, মুকুল রানা, মোজাম্মেল, আবু, আকরাম ও হাসান অভিজিৎ রায়কে কোপানোর সময় চারপাশ ঘিরে রাখেন।
মূল পরিকল্পনাকারী মেজর জিয়া: অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, অন্যান্য আলামত বিশ্লেষণ ও তদন্তে প্রাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ সবকিছু মিলে স্পষ্ট হয়েছে যে ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত পলাতক মেজর জিয়া।
যে কারণে লক্ষ্যবস্তু অভিজিৎ: লেখালেখি ও ভিন্নমতের জন্য তাকে অনেক আগেই লক্ষ্যবস্তু করা হয়। ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ ও ‘অবিশ্বাসের দর্শন’ নামক দুটি বইকে কেন্দ্র করে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় আনসার আল ইসলাম।
২০১৫ সালের ২৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়ে নিহত হন মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায়। ওই হামলায় তার স্ত্রীও গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় পরদিন অভিজিৎ রায়ের বাবা অজয় রায় শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.