এই দাবদাহ থাকবে আরও ৫ দিন, স্বস্তি নেই রাতেও

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু থেকে গ্রীষ্মের তীব্র তাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা আরও পাঁচদিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। রাতেও তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই। তবে আগামী ৪ মে রাত অথবা ৫ মে সকাল নাগাদ ঘূর্ণিঝড় ফণী বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানলে অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে।

গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা কিছুটা কমে এলেও গতকাল আবার বেড়েছে। রোববার সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলিসিয়াস। ব্যারোমিটারে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলিসিয়াস হলেই তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে গণ্য করা হয়।

এছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মধ্যে সর্বোচ্চ রংপুরে ২৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি (দিনাজপুরে ৩১ দশমিক ৭ ডিগ্রি) ময়মনসিংহে ৩০ থেকে ৩১ ডিগ্রি, সিলেটে ৩৪ ডিগ্রি, বরিশালে ৩৬ ডিগ্রি, রাঙামাটিতে ৩৬ ডিগ্রি, ঢাকায় ৩৬ ডিগ্রি (ফরিদপুরে ৩৭ ডিগ্রি), খুলনায় ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি, যশোরে ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি, চুয়াডাঙায় ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এর মধ্যে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলে তাপপ্রবাহ নেই, এ সব এলাকার কোথাও কোথাও কালবৈশাখী ঝড়ও হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বৃষ্টি না হওয়ায় দিনকে দিন তাপমাত্রা বেড়েই চলছে। তাছাড়া বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ উপকূলে পৌঁছাতে আরো সময় লাগবে। তাছাড়া বাংলাদেশে এ ঝড় আছড়ে নাও পড়তে পারে। ফলে আরো অন্তত পাঁচ দিন ও রাতে গরম থেকে মুক্তি মিলছে না।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ফণী বাংলাদেশের উপকূল ৪ মে রাত অথবা ৫ মে সকাল নাগাদ আঘাত হানতে পারে। সে ক্ষেত্রে চলমান তাপমাত্রা ৩ মে'র আগ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে ধরেই নেয়া যায়।’

তিনি আরো বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলের কাছাকাছি না পৌঁছানো পর্যন্ত কালবৈশাখীর সম্ভাবনা খুব একটা নেই বললেই চলে। তবে কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি ও ঝড় হতে পারে। এমনটাই চলবে আগামী কয়েকদিন।’