ইরানের উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা, ফের উত্তেজনার লড়াই

পরমাণু চুক্তি থেকে ইরান আংশিক সরে আসায় দেশটির উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি পরমাণু চুক্তি থেকে আংশিক সরে আসলে এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে গত কয়েক দশকের প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই রাষ্ট্রের মধ্যে।

আলজাজিরা জানায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের অ্যালুমিনিয়াম, তামা, ইস্পাত ও লোহার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। উল্লেখ্য, ইরানের অর্থনীতিকে চাঙা রাখতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে এসব খাত শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে।

এই নিষেধাজ্ঞার পর তেহরান যদি গৃহীত সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসে তাহলে আরও কঠোর পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরান কর্তৃক দেওয়া ঘোষণার পরপরই এ প্রতিক্রিয়া দেখায় ওয়াশিংটন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, আজকের এই নিষেধাজ্ঞা ১০ শতাংশ ভূমিকা রাখবে ইরানের রপ্তানি শিল্পের উপর। ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখা দেশগুলোর প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ইরান থেকে লোহা, ইস্পাতসহ অন্যান্য ধাতু আমদানি করলে সেটা সহ্য করা হবে না।

এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি হুমকি দেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থেকে ইরানকে রক্ষায় চুক্তিভূক্ত পক্ষগুলো কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ৬০ দিনের মধ্যে তেহরান অনুমোদিত নিম্ন মাত্রার চেয়ে বেশি পরমাণু সমৃদ্ধকরণ শুরু করবে। আলোচনার মাধ্যমে ৫টি দেশ চুক্তিতে আসলে এবং ইরানের তেল ও ব্যাংকিং খাত সংরক্ষণ করলে সবকিছু নতুন করে শুরু করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তিতে সই করে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও জার্মানি। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের শর্তে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেই চুক্তিতে সইও করে ইরান। কিন্তু গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে সরে আসেন এবং ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। ওয়াশিংটনের ইউরোপীয় মিত্ররা এর বিরোধিতা করলেও পরে যুক্তরাষ্ট্রের তোপে পড়ার ভয়ে ইরানের সঙ্গে ব্যবসার পরিকল্পনা বাতিল করে ইউরোপের বড় বড় সব প্রতিষ্ঠান।