‘চার মাসে ২৫০টি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে’

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত গত চার মাসে মোট ২৫০টি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব সহিংসতার চিত্র লিখিত বক্তব্যে তুলে ধরেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত চার মাসে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নিহত হয়েছে ২৩ জন। এর মধ্যে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে ৬ জনের। এছাড়া ১০টি হত্যাকাণ্ডের চেষ্টা, ১৭ জনকে হত্যার হুমকি এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে ১৮৮ জনকে। সহিংসতার মধ্যে আরও রয়েছে বাড়িঘর ও ব্যাবসাপ্রতিষ্ঠানে লুটতরাজ, জমি ও বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ, চাঁদা দাবি, জবর-দখলের প্রয়াস, মঠ-মন্দিরে হামলা, দেশত্যাগের হুমকি ইত্যাদি।

তিনি আরও বলেন, আগের তুলনায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার মাত্রা অনেক বেড়ে গেছে। ২০১৮ সালে পুরো এক বছরে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটেছে ৮০৬টি। কিন্তু এ বছর প্রথম চার মাসেই সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ২৫০টি।

গত চার মাসে অধিক পরিমাণে সহিংসতা বৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধ করতে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। কিন্তু তা ঠিকমত বাস্তবায়ন হয় না। তাই জিরো টলারেন্স ঘোষণার বাস্তবায় চান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের খোঁজে তাঁর ফরিদপুরের বাসভবনে সশস্ত্র দুর্বৃত্তদের হামলা, পঞ্চগড়ের কারাগারে আইনজীবী পলাশ রায়ের মৃত্যু, মানবাধিকার কর্মী প্রিয়া সাহার পৈতৃক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, বিশিষ্ট নাগরিক শাহরিয়ার কবির, সুলতানা কামাল ও মুনতাসীর মামুনকে হত্যার হুমকিসহ আরও কয়েকটি ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবিতে ২৫ মে সকাল ১১টায় সারা দেশে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি পালন করা হবে। তবে ঢাকায় এই কর্মসূচি পালিত হবে সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে।