ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে ইরান

ইরানের একটি তেলের ট্যাঙ্কারকে অবৈধভাবে জব্দ করার ঘটনায় দেশটিতে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে তেহরান। বৃহস্পতিবার সিরিয়া অভিমুখে যাত্রা করা ইরানের এই তেলের ট্যাঙ্কারটিকে যুক্তরাজ্যের রাজকীয় নৌবাহিনীর সহায়তায় আটক করেছে জিব্রাল্টারের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।

সংস্থাটি জানায়, ওই তেলের ট্যাঙ্কারটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেছে। তাই এটিকে জব্দ করা হয়েছে। তবে তেহরানের দাবি ট্যাঙ্কারটিকে অবৈধভাবে জব্দ করেছে জিব্রাল্টার কর্তৃপক্ষ।

ইরানি টেলিভিশন চ্যানেল টু-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মৌসাবি জানান, অবৈধভাবে তেলের ট্যাঙ্কার আটক করার ঘটনায় তেহরানে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত রবার্ট ম্যাকেয়ারাকে তলব করা হয়েছে। ট্যাঙ্কারটি জব্দ করার ক্ষেত্রে কোন আন্তর্জাতিক ও বৈধ আইন মানা হয়নি। তাই যত দ্রুত সম্ভব জাহাজটি ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে স্পেনের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধেই গ্রেস-১ নামের পানামার ওই তেলের ট্যাঙ্কারটিকে আটক করেছে জিব্রাল্টার কর্তৃপক্ষ।

তবে এই ঘটনাটিকে এক ধরনের ডাকাতি বলে উল্লেখ করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র। কিন্তু ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর ইরানের এমন মন্তব্যকে অর্থহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়া অভিমুখে যাত্রা করা পানামার ওই তেলের ট্যাঙ্করটিকে জব্দ করতে জিব্রাল্টার কর্তৃপক্ষের অনুরোধে সাড়া দেয় ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবাহিনী। তাই যুক্তরাজ্য থেকে রাজকীয় নৌবাহিনীর ফোর্টি টু কমান্ডোর প্রায় ৩০ নৌসেনা সেখানে যান।

তেলের ট্যাঙ্কার আটকের পর এক বিবৃতিতে জিব্রাল্টারের মুখ্যমন্ত্রী ফ্যাবিয়ান পিকার্ডো বলেন, তাদের কাস্টমস এজেন্সি ও পুলিশ ব্রিটিশ নৌ সেনাদের সহায়তা নিয়ে গ্রেস-১ নামের জাহাজটি আটক করেছে। কারণ ওই ট্যাঙ্কারে করে অপরিশোধিত তেল সিরিয়ার বানিয়াস শোধনাগারে নেয়া হচ্ছিল। ওই শোধনাগারের ওপর ২০১১ সাল থেকেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।

প্রসঙ্গত, পানামার পতাকাবাহী ওই গ্রেস-১ নামের তেলের ট্যাঙ্কারটিতে হেলিকপ্টার থেকে দড়ি ফেলা হয় এবং এর আশেপাশে স্পীড বোট নিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। তবে ওই জাহাজটিকে লক্ষ্য করে কোন প্রকার গুলি ছোড়া হয়নি।