হাঁপানি রোগীর শীতকাল

শীতকাল অনেকের জন্য আরামের সিজন, আবার অনেকের জন্য ভয়াবহ কষ্টের কাল। বিশেষ করে হাঁপানি রোগীদের জন্য বেশ কষ্টকর সময় এই শীতকাল। আবহাওয়া শুষ্ক আর ধুলোবালির প্রকোপ বেশি থাকে শীতকালে তাই হাঁপানি আক্রান্ত রোগীদেরকে এই সময় একটু বেশিই সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। কারণ সামান্য অসতর্কতায় জীবনে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।

চলুন জেনে নেই শীতকালে হাঁপানি রোগীর জন্য কিছু পরামর্শ-

শীতকালে আগুন পোহানো অনেকের জন্যই একটা সাধারণ অভ্যাস। কিন্তু এই সামান্য একটু আরাম হাঁপানি রোগীর জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। কারণ আগুনের ধোঁয়া হাঁপানি রোগীর ফুসফুসে ঢুকলে বিপদের সম্মুখীন হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই শীতকালে হাঁপানি রোগীরা নিজেদেরকে আগুন থেকে দূরে থাকুন।

শীতকালের ঠাণ্ডা বাতাস হাঁপানি রোগীর নাক মুখ দিয়ে ফুসফুসে প্রবেশ করলে হাঁপানি রোগ বাড়তে পারে। তাই বাইরে বেরোবার আগে নাক-মুখ ঢেকে বের হোন। আর অবশ্যই হুটহাট বাইরে বের হবেন না, বাইরে যাবার আগে গরম কাপড় পরে প্রস্তুতি নিয়ে বের হোন।

শুধু হাঁপানি রোগীরা নয়। শীতের সময়টায় প্রত্যেকই সুস্থ থাকতে কিছুক্ষণ পর পর গরম পানিতে হাত ধোঁয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে রোগ জীবাণু হাতের দ্বারা আপনার শরীরে প্রবেশ করতে পারবে না।

'ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর' এটা আমরা সবাই জেনেও ধূমপানে আসক্ত হই। যাদের হাঁপানি আছে তাদেরকে অবশ্যই ধূমপান থেকে দূরে থাকতে হবে। আর হাঁপানি রোগীর পাশেও ধূমপান করা যাবে না কারণ ধূমপানের সৃষ্ট ধোঁয়া রোগীর ফুসফুসে গিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। তাই সতর্কতা অবলম্বন করুন।

হাঁপানি রোগীদের রুম একটু বেশিই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়। কারণ ধুলা-ময়লা হাঁপানি রোগীর যম বলা যায়। তাই শীতকালে পরিচ্ছন্নতায় একটু বেশি নজর দিন।

শীতের সময়টায় গোসলের পাশাপাশি সবকিছুতেই হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন। আর এই সময়ে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে শীতকাল উপভোগ করুন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

পিঠে ব্যথা? রইল ছোটখাট টিপস

হঠাৎ কানে ব্যথা?

চোখের চিকিৎসায় পানি