গণফোরাম: রিলিফের নামে প্রহসন করছে সরকার

সারাদেশে বন্যাদুর্গতদের সাথে রিলিফের নামে সরকার প্রহসন করছে বলে অভিযোগ করেছে ড. কামালের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দলটির নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাঈদ এ অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, কুড়িগ্রামে গণফোরামের নেতৃত্বে বেশ কয়েকদিন ধরে রিলিফ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সেখানে প্রত্যন্ত এলাকায় এখন পর্যন্ত ত্রাণ পৌঁছেনি। খাবার নেই, ওষুধ নেই এবং পানি নেই। এ ছাড়া সেখানে থাকা সাহায্য সংস্থার লোকজনও তেমন তৎপর নয়। অথচ বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এ বছর বন্যার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। অন্যদিকে, এখানকার জনসংখ্যার একটা বড় অংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে।

সরকারের সমালোচনা করে অধ্যাপক আবু সাঈদ বলেন, ১২ লাখ লোক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে দেড় সপ্তাহে বরাদ্দ হয়েছে জনপ্রতি ১ টাকা ১২ পয়সা, চাল ৬৬ গ্রাম এবং শুকনো খাবার ৩ হাজার প্যাকেট। যা রিলিফের নামে প্রহসন।

তিনি বলেন, এবারের বাজেটে ৭ হাজার ৯১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বড় একটা অংশ রাখা হয়েছে। এতে মোট টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এতো টাকা দেয়ার পরও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জীবনমান অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে লাভ হয়েছে গুটিকয়েক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, আমলা ও ঠিকাদারদের। যারা বাঁধ নির্মাণ ও বন্যাকবলিতদের সাহায্যের নামে জনগণের টাকা লুট করেছে।

আবু সাঈদ আরো বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি মানুষের নিরাপদ জীবন, আশ্রয়ের ব্যবস্থা, সরকারি ত্রাণ ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নানামুখী উদ্যোগ এবং ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের কাছে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া অত্যাবশ্যকীয়। এ সময় অধিকতর বন্যা আক্রান্ত উপজেলা চিলমারী, রাজীবপুর ও রৌমারি এলাকাসহ অধিক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাকে ‘দুর্যোগপ্রবণ ’ এলাকা ঘোষণা করার দাবি জানান তিনি। 

সংবাদ সম্মেলনে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দায় আফ্রিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।