শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ গজের মধ্যে তামাকজাত পণ্য নিষিদ্ধ!

তামাক মুক্ত চট্টগ্রাম নগরী গড়তে স্কুল, কলেজসহ সকল ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ গজের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। মঙ্গলবার ও বুধবার সংবাদপত্রে গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন এ নির্দেশনা দেন।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নগরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ১০০ গজের মধ্যে কোন ধরনের তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি, প্রচারণা ও বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে না।  আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব জায়গায় অবস্থিত তামাকজাত পণ্য বিক্রির দোকান অপসারণ করতে হবে। পাশাপাশি বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ (২০১৩ সালের সংশোধনীসহ) মোতাবেক তামাকজাত পণ্য বিক্রেতা ও পৃষ্টপোষকদের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আকতার জানান, মেয়রের ঘোষণা অনুসারে গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত সময় শেষে নগরীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। তখন তামাকজাত দ্রব্য বিক্রেতা বা পৃষ্ঠপোষকদের কোন ধরনের অজুহাত শোনা হবে না। সরাসরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, তামাকমুক্ত চট্টগ্রাম নগরী গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব থিয়েটার আর্টস (বিটা), ইলমা ও ক্যাব একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। এ জন্য গত বছর নগরীরর ৪১টি ওয়ার্ডে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রির ওপর একটি জরিপ চালায় বিটা। সেখানে দেখা যায়, নগরের ওইসব ওয়ার্ডে ৮৮৫টি এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলোর ১০০ গজের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি হয়। বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে ৫ হাজার ৫৩৬টি।

এছাড়া পুরো নগরীতে তামামজাত পণ্য বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে ১৬ হাজার ৫৯টি। যার মধ্যে রাস্তার পাশে ৩ হাজার ৩৯৪টি, ক্ষুদ্র মুদি দোকান ৫ হাজার ৮৭৯টি, চা বিক্রয় কেন্দ্র ৪ হাজার ৩০৫টি, তামাক দ্রব্য বিক্রয় কেন্দ্র ৬৬৭টি, সুপার মার্কেট ৯২৪টি, ভাসমান বিক্রয় কেন্দ্র ৬৯৪ টি ও রেস্টুরেন্টে ১৯৬টি।

গত বছরের ১৫ নভেম্বর সিটি কর্পোরেশনের কেবি আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে এ জরিপের তথ্য তুলে ধরা হয়। এরপর চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল বিটা আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মেয়র ঘোষণা দেন আগামী এক বছরের মধ্যে নগরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ১০০ গজের মধ্যে সকল ধরনের তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়কেন্দ্র অপসারণ করা হবে। সর্বশেষ গত ৩১ আগস্ট ক্যাব আয়োজিত এক মানববন্ধনেও মেয়র একই ঘোষণা দেন।

যার ফলশ্রুতিতে গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ ও দৈনিক আজাদীতে এবং আজ বুধবার দৈনিক পূর্বদেশ ও দৈনিক সুপ্রভাত এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।