বেশি ক্ষতি হবে বাংলাদেশ-চীনের, ডুববে কলকাতা-মুম্বাই

সময় খুবই কম। সমুদ্রের জলস্তর যেভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে আগামী ৩১ বছরের মধ্যেই তলিয়ে যেতে পারে ভারতের কলকাতা ও মুম্বাই। আর এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে বাংলাদেশ ও চীনের। নতুন এক এমন আশঙ্কাই ব্যক্ত করা হয়েছে।

আমেরিকার নিউ জার্সির বিজ্ঞান সংস্থা ক্লাইমেট সেন্ট্রাল এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলেছে, জলস্তর বৃদ্ধির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন ৩০ কোটি মানুষ। উদ্বাস্তু হতে পারে ১৫ কোটি মানুষ। আর এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে এশিয়াতে।

নেচার কমিউনিকেশনস শীর্ষক ক্লাইমেট সেন্ট্রাল- এর ওই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সমুদ্রে জলস্তরের উঠানামা এবং স্থলভূমির ওপর তার প্রভাব পর্যবেক্ষণ করে তাদের সংস্থা। তাতেই এমন বিপদজ্জনক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা গেছে। ২০৫০ সালের মধ্যেই সমুদ্রের জলস্তর উপকূল ছাপিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করতে পারে।

অত্যধিক পরিবেশ দূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এর আগেও এমন আশঙ্কা করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। তবে তাতে বলা হয়েছিল, বিংশ শতকে গোটা বিশ্বে সমুদ্রের জলস্তর ১১-১৬ সেন্টিমিটার বেড়েছিল। বর্তমান শতাব্দীতে তা ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।

কিন্তু ‘ক্লাইমেট সেন্ট্রাল’-এর বিজ্ঞানীদের দাবি, গ্রিনহাউজ গ্যাসের প্রভাবে যে হারে বিশ্ব উষ্ণায়ন বেড়ে চলেছে, তাতে অ্যান্টার্কটিকার বরফের চাদর নির্ধারিত সময়ের আগেই গলতে শুরু করলে, এই শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে সমুদ্রের জলস্তর ২ মিটারেরও বেশি বেড়ে যেতে পারে।

এর ফলে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ ও চীনই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের। তাদের মতে, বাংলাদেশে ৯ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ সমুদ্র উপকূল অঞ্চলে বাস করেন। চীনে এই সংখ্যাটা চার কোটি ২০ লক্ষ। অবিলম্বে তাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত বলে মত ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের আধিকারিক ডিনা লোনেস্কোর।

তার কথায়, ‘বহু দিন ধরেই সতর্ক করে আসছি আমরা। আমরা জানি, কী হতে চলেছে। নাগরিকদের স্থানান্তর করতে এখন থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের।’