ভিটামিন খেতে হবে জেনেবুঝে

প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনকিছুই ভালো নয়। ভিটামিনের বেলায়ও ঠিক তাই। এতে উপকারের চেয়ে অপকারই হয়। অনেক সময় আমরা নিজেরা বা অন্যদের দেখাদেখি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ভিটামিন ট্যাবলেট খাই, যা অত্যন্ত ক্ষতিকর।

বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভিটামিন গ্রহণ দেহের জন্য হানিকর। ভারতের একটি হাসপাতাল এবং গণস্বাস্থ্য গবেষণাকেন্দ্রের প্রধাণ পুষ্টি বিজ্ঞানী নীলঞ্জনা সিং অতিরিক্ত ভিটামিন গ্রহণে কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে সেইসাথে ভিটামিনের সহজ কিছু উৎসের সন্ধানও দিয়েছেন।

ত্বক শুষ্ক, গায়ের রং ফ্যাকাসে, নখ ভঙ্গুর, ক্লান্তি, পেটের ব্যথাসহ অনুভূত চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে বেশি পরিমাণ ভিটামিন এ গ্রহণে। ট্যাবলেট না খেয়ে ভিটামিন এ’র সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী উৎস যেমন আম, মিষ্টিআলু, গাজর, পেঁপে, কুমড়া নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখুন।

মাংশপেশিতে টান পড়ে ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে। এই রোগের চিকিৎসায় ভিটামিন বি ১২ ট্যাবলেট দীর্ঘ সময় সেবনের ফলে স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হয়। শরীর অসাড় হয়ে যেতে পারে। তাই সেবনের আগে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া আবশ্যক। শাক, ডাল, অঙ্কুরিত ছোলা, শিমজাতীয় শস্য, এবং চর্বিবিহীন মাংস ভিটামিন বি ১২ এর ভালো উৎস।

ভিটামিন সি দেহের লৌহ উপাদান শোষণ ছাড়াও রোগঠাণ্ডা, কাশি, অ্যালার্জিকে প্রতিরোধ করে। এই ভিটামিন অতিরিক্ত খেলে বমি বমি ভাব হয়। কমলা, সজনে, বেল ভিটামিন সি-তে ভরপুর।

গবেষণা বলে, উন্নয়নশীল দেশের ৮০ শতাংশ মানুষই ভিটামিন ডি’র অভাবে ভোগে। এই অভাব পূরণে কম বেশি ভিটামিন ডি’র ট্যাবলেট সবাই খেয়ে থাকেন। এটি রক্তে ভিটামিন ডি’র ঘনত্ব বৃদ্ধি করে হৃদপিণ্ড, বৃক্ক, ফুসফুসে গিয়ে জমা হয়। এতে হৃদরোগ ছাড়াও অন্যান্য রোগ হয়। ডিমের কুসুম ও প্রাণীর যকৃতের মাংস ভিটামিন ডি-য়ের অভাব পূরণ করতে পারে। সকালের মিষ্টি রোদে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পাওয়া সম্ভব।

সুতরাং বুঝে শুনে প্রয়োজনীয় ভিটামিনযুক্ত খাবার খান। সুস্থ্ থাকুন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

মেজাজ ঠিক রাখতে প্রতিদিন একটি কলা

ইসুবগুলের হাজারও গুণ

জিরার অজানা গুণাবলী