মৃত্যু পরোয়ানা শোনানো হলো জামায়াত নেতা আজহারকে

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে তাকে পরোয়ানা শোনায় কারা কর্তৃপক্ষ।

জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম

বিষয়টি নিশ্চিত করে কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, নিয়ম অনুযায়ী তিনি ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে রিভিউ আবেদন করতে পারবেন। ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন না করলে যেকোনো দিন রায় কার্যকর করা হবে। তবে রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করে সাজা মাফ হওয়ার ঘটনা তেমন একটা নেই।

রিভিউ আবেদন বাতিল হলে আজহারুল ইসলামকে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইতে হবে। তিনি যদি প্রাণ ভিক্ষা না চান এবং চেয়েও ক্ষমা না পান তাহলে যেকোনো দিন রায় কার্যকর করা হবে। ফাঁসির আগে অবশ্য তার পরিবারের সঙ্গে শেষবারের মতো সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন।

এর আগে গত ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের দেয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই গতকাল সোমবার গভীর রাতে লাল কাপড়ে মোড়ানো মৃত্যু পরোয়ানাটি কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছায়।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে ১২৫৬ ব্যক্তিকে গণহত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং শত শত বাড়ি-ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো ৯ ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয় এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে।

২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ১১৩ যুক্তিতে আজহারকে নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়ে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ২৩৪০ পৃষ্ঠার আপিল দাখিল করেন। চলতি বছরের ১৮ জুন এই আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীনের পেপারবুক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এ শুনানি শুরু হয়েছিল।