আস্তে আস্তে পুরো দুনিয়াকে গ্রাস করে ফেলেছে মরণঘাতী করোনাভাইরাস। ইতোমধ্যে এর সংক্রমণে এক লাখ ৪১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে দুই মিলিয়নের বেশি মানুষ। প্রতিনিয়ত বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। প্রথমে বলা হচ্ছিল যে, করোনায় আক্রান্ত হলে জ্বর, মাথাব্যথা, সর্দি-কাশি হয়। কিন্তু গবেষকরা বলছেন, আরো বেশ কিছু উপসর্গ দেখা যেতে পারে কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির। তার চেয়ে বড় কথা হলো- আক্রান্তদের একটি বিরাট অংশের কোনো লক্ষণই নাকি প্রকাশ পায় না।

new symtoms infection homeকরোনায় আক্রান্তের নতুন উপসর্গ হিসেবে ঘ্রাণশক্তি হ্রাসের কথা বলা হচ্ছে, ছবি- লাইভ সাইন্স

কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরও সামান্য কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। আবার ৮০ শতাংশ মানুষ এমন আছে যাদের আক্রান্ত হওয়ার পর কোনো ন লক্ষণই দেখা যায় না।

বলা হচ্ছে খুব অল্প সংখ্যক মানুষের শরীরে করোনার ভয়াবহ উপসর্গগুলো প্রকাশ পায় এবং তাদেরকে জরুরি ভিত্ততে হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন দেখা দেয় এবং অনেকের মৃত্যুও হয়।

কিন্তু এমন কী কী উপসর্গ বা লক্ষণ আছে যা দেখে এক জন বুঝতে পারবেন তিনি আক্রান্ত হয়েছেন কি না।

গত কয়েক মাসের অভিজ্ঞতার আলোকে গবেষকরা বলছেন, নতুন এ ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে আক্রমণ করে তা আস্তে আস্তে ধ্বংস করে দেয়। আর ফুসফুস আক্রান্ত হলে প্রধানত দুটি উপসর্গ তথা জ্বর ও একটানা শুকনো কাশি দেখা দেয়।

new symtoms infection innerকরোনায় আক্রান্তের নতুন উপসর্গ হিসেবে মুখের স্বাদ হ্রাসের কথা বলা হচ্ছে, ছবি- সিএনএন

কিন্তু অনেকেই বলছেন, শুকনো কাশি ও সাধারণ কাশি কীভাবে আলাদা করে বোঝা যাবে?

বিবিসির এক প্রতিবেদন বলছে, সাধারণ কাশি দিলে মুখ দিয়ে যে আঠালো তরল পদার্থ বেরিয়ে আসে, শুকনো কাশির ক্ষেত্রে সেটা হয় না। অর্থাৎ শুকনো কাশির ক্ষেত্রে কোনো শ্লেষা তৈরি হয় না।

অন্যদিকে, একটানা বা বিরামহীন কাশি বলতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে প্রচুর কাশতে থাকাকে বোঝায়। এ রকম পরিস্থিতি দেখা দিলে রোগীর শরীর খুব খারাপ হয়ে যেতে পারে। দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বুকের মধ্যে চাপ অনুভব করতে পারেন। অর্থাৎ শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া বা দম বন্ধ হয়ে আসার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারো শরীরের তাপমাত্রা যদি ৩৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে তার জ্বর হয়েছে বুঝতে হবে। আর জ্বর হলে সেই ব্যক্তির শরীর উষ্ণ হবে, শীত শীত লাগবে এমনকি শরীরে কাঁপনও দেখা দিতে পারে।

এ ছাড়া এক জন কোভিড-১৯ রোগীর যেসব উপসর্গের কথা জানা যাচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে- গলা ব্যথা, মাথা ব্যথা, ডায়রিয়া, গন্ধ না পাওয়া বা গ্রাণশক্তি হ্রাস পাওয়া এবং মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে যাওয়া।

বিবিসি বলছে, সাধারণত গড়ে পাঁচ দিনের এসব উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে কারো কারো শরীরে উপসর্গগুলো দেখা দিতে বেশি সময়ও লাগতে পারে।

যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সাধারণত ১৪ দিনের মধ্যেই লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে পারে।

Get the latest news on lifestyle, health, food, and more from our team of expert writers. From fitness tips and nutrition advice to travel guides and entertainment news, we cover the topics that matter most to you. Whether you're looking to improve your health, broaden your horizons, or just stay up-to-date with the latest trends, you'll find everything you need here.