লকডাউন ছাড়াই যেভাবে করোনা মোকবেলা সুইডেনের

নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দেশগুলো যখন লকডাউনের ব্যাপারে কঠোর থেকে কঠোরতর হচ্ছে তখন সুইডেনের যেন সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। দেশটির বাসিন্দারা স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। কিছু বিধিনিষেধ আরোপ হয়েছে, তবে সেটা খুব সামান্যই। জনগন বাইরে বেরুচ্ছে, বড়দের স্কুল খোলা, ব্যবসা-বাণিজ্য চলছে, অফিস আদালতও সরগরম। তাহলে কীভাবে তারা করোনা মোকাবেলা করছে?

সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই বাইরে বেরুচ্ছেন সুইডেনের নাগরিকরা

দেশটির বাসিন্দারা স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন সামাজিক দূরত্ব মেনে। একটু অবাক লাগলেও ব্যাপারটা এমনই। সুইডেন এটাকে নিয়েছে একটা কৌশল হিসেবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় নিশ্চিত করে নাগরিকদের চাপমুক্ত রাখতে চায় দেশটি। তাদেরকে চাঙ্গা রেখেই করোনা মোকাবেলা করতে চায়। সরকারের এই সিদ্ধান্তে নাগরিকদেরও সমর্থন আছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তারাও সরকারের আস্থার প্রতিফলন দিয়ে যাচ্ছে।

কোন দেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি সচেতন? এই প্রশ্নের উত্তরে সর্বাগ্রেই আসবে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর (নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড ও আইসল্যান্ড) কথা। তারমধ্যে আবার সুইডেনকে রাখতে হবে এক নম্বরে। ক’দিন আগেই খবরে এসেছে, সুইডেনে অপরাধ কমতে কমতে শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। কারাগারগুলোতে রাখার জন্য আর কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই সেগুলোকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করার কথা ভাবছে সরকার।

সুইডেনের নাগরিকরা খুবই সচেতন

সেই সুইডেনে সরকার যখন নাগরিকদেরকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে, তখন সেটা শতভাগ কার্যকর হওয়াই স্বাভাবিক। নোভাস নামের একটি জরিপ পরিচালনকারী সংস্থা জানিয়েছে, প্রতি দশজনে দেশটির নয়জন নাগরিক অন্যের সঙ্গে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন। এদিকে নাগরিকদের স্বাভাবিকভাবে চলতে দিয়ে সরকার মনোযোগ দিচ্ছে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে, যাতে ওই ক্ষমতা দিয়েই স্থায়ীভাবে করোনাভাইরাস মোকাবেলা করা যায়।

ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় সুইডেনে আক্রান্ত অবশ্য কমই, ১৮ হাজার ১৭৭ জন। মারা গেছেন ২ হাজার ১১৯ জন। ১ হাজারেরও বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সংকটাপন্ন আছেন ৫০৭ জন।