রমজানে সুস্থ থাকতে যা খাবেন যা করবেন না
- Details
- by জীবনশৈলী ডেস্ক
পবিত্র রমজান মাসে মানুষের জীবনযাপনে অনেকটা পরিবর্তন আসে। নিয়মিত কাজের ধরনের পাশাপাশি পরিবর্তন আসে খাদ্যাভাসেও। তাই সারাদিন সিয়াম সাধনার পর ইফতার ও সেহেরিতে যেমন পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন দৈনন্দিন জীবনযাপনে কিছু বাড়তি সতর্কতা মেনে চলার।
পুষ্টিবিদদের মতে, পবিত্র রমজানে সুস্থ থাকতে এমন খাবার খেতে হবে যা সহজে হজম হয়। পাশাপাশি সারাদিন রোজা রাখার পর ভাজা-পোড়া জাতীয় খাবারের পরিবর্তে পুষ্টিকর ও পানি জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত। এতে ক্লান্ত না হয়ে যেমন রোজা রাখা যায়, তেমনি শরীরও সুস্থ থাকে।
এ ছাড়া সিয়াম সাধনার এ মাসে অতিরিক্ত পরিশ্রম বা আলস্য কোনোটাই করা উচিত নয় বলে মত পুষ্টিবিদদের।
রোজায় কী খাবেন আর কী খাবেন না-
ভাজাপোড়া খাবার না খাওয়া
পুষ্টিবিদদের মতে, রমজানে তেলযুক্ত ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া উচিত নয়। কারণ সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারে ভাজাপোড়া খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ইফতার এবং সেহেরিতে তেলযুক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো। এর পরিবর্তে মাছ, ভাত, ডাল, শাক-সবজি ও ফল খাওয়া যেতে পারে। এতে শরীর শান্ত এবং সুস্থ থাকে।
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা
রমজানে সারাদিন রোজা রাখার পর শরীরে পানি শূন্যতার সৃষ্টি হয়। তাই ইফতারের পর থেকে সেহেরি পর্যন্ত কিছুক্ষণ পর পর বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। এ ছাড়া ইফতার এবং সেহেরিতে পানিজাতীয় খাবার খেতে হবে। এতে শরীরের পানিশূন্যতা দূর হয়। এক্ষেত্রে চিড়া, দুধ, বিভিন্ন মৌসুমী ফল খাওয়া যেতে পারে।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া
রমজানে শরীর সুস্থ রাখতে পুষ্টিকর ও সুষম খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে ভাত, মাছ, ডাল, শাক-সবজি, ফল, ডিম, রুটি, চিড়া আদর্শ খাবার বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদরা। এসব খাবার খেলে শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি প্রোটিন ও ভিটামিনের অভাবও পূরণ হয়। রমজানে সেহেরিতে গরুর মাংস না খাওয়াই ভালো। এর পরিবর্তে মুরগির মাংস খাওয়া যেতে পারে।
এ ছাড়া রমজানে স্যুপ একটি ভালো খাবার হতে পারে। এতে যেমন শরীরে পানির চাহিদা পূরণ হয়, তেমনি পূরণ হয় পুষ্টির অভাবও। প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ খাওয়া শরীরের জন্য ভীষণ প্রয়োজন। কারণ এটি একটি সুষম খাদ্য। পাশাপাশি প্রোটিনের অভাব পূরণ করতে প্রতিদিন ডিম খেতে হবে।
খাদ্য তালিকায় আর যা রাখা যাবে
প্রতিদিন ইফতারে খেজুর খাওয়া যেতে পারে। এটি শরীরের আয়রণ, ভিটামিন ও শর্করার অভাব পূরণ করে শক্তি যোগায়। এ ছাড়া ইফতারের পর হালকা তেলযুক্ত তেহরি বা খিচুড়ি খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু কোনোভাবেই বেশি এবং সহজে হজম হয় না এমন খাবার খাওয়া যাবে না।
রমজানে ফল, তাজা শাক-সবজি ও আঁশযুক্ত খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত।
রমজানে কী করবেন কী করবেন না-
সতর্কতার সাথে খাবার খাওয়া
শুধু রমজান নয়, সব সময়ই খাবার ধীরে এবং ভালো করে চিবিয়ে খাওয়া উচিত। এতে খাবার সহজে হজম হয়। ইফতারের শুরুতে কিছুটা পানি পান করা শরীরের জন্য ভালো।
শারীরিক পরিশ্রম কম করা ও আলস্য দূর করা
পবিত্র রমজান মাসে অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করা উচিত নয়। পাশাপাশি একেবারে আলস্য জীবন-যাপনও ভালো নয়। দুটোতেই শরীর দুর্বল এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই রমজানে ভারী কাজ থেকে বিরত থাকুন।
দৈনন্দিন জীবন-যাপনে পরিবর্তন আনা
রমজানে শুধু খাবার নয়, দৈনন্দিন জীবন-যাপনেও পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। এ সময় শরীরে শক্তি যোগাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো উচিত। এত মন শান্ত থাকে। এ ছাড়া ধূমপান থেকেও বিরত থাকা উচিত। বিভিন্ন শারীরিক রোগে ভুগছেন যারা, তাদের অবশ্যই সতর্ক থাকা উচিত। যেকোনো প্রয়োজনে চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Get the latest news on lifestyle, health, food, and more from our team of expert writers. From fitness tips and nutrition advice to travel guides and entertainment news, we cover the topics that matter most to you. Whether you're looking to improve your health, broaden your horizons, or just stay up-to-date with the latest trends, you'll find everything you need here.