করোনার মহামারিতে যা শিখলো বিশ্ববাসী

মরণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক মহামারিতে মানুষ অনেকগুলো নতুন শব্দের সঙ্গে ওয়াকিবহাল হয়েছে। এদের মধ্যে লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব, কোয়েরেন্টাইন অন্যতম। এ ছাড়া আরো অনেক শব্দই আছে। কিন্তু আপনি কি জানেন এই শব্দগুলোর সঠিক মানে কী?

সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার নির্দেশক

কোভিড-১৯

ডিসেম্বরের দিকে চীনে নতুন একটি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। শুরুর দিকে এর নাম নিয়ে বেশ বিভ্রান্তি ছিল। এরপর চীন এটিকে করোনাভাইরাস হিসেবে উল্লেখ করতে শুরু করে। তবে বৈশিষ্ট্যে অনেক পার্থক্য থাকায় নাম পরিবর্তন করে নভেল করোনাভাইরাস নামকরণ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরে এর নামকরণ করে কোভিড-১৯। এই নামটি বেশ কয়েকটি বিষয়ের সংমিশ্রণ। কো মানে করোনা, ভি মানে ভাইরাস, ডি মানে ডিজিস এবং ১৯ মানে ২০১৯ সাল।

লকডাউন

মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এই শব্দটি না শোনা মানুষের সংখ্যা খুব কম। এই শব্দের মানে হলো মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সব কাজের ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করা। সহজ কথায়, মানুষ ঘরবন্দী হিসেবে জীবনযাপন করবে।

লকডাউনে ফাঁকা যুক্তরাজ্যের রাস্তা

সেলফ-আইসোলেশন

ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে স্ব-ইচ্ছায় ঘরে অবস্থান করা। সব রকম প্রত্যক্ষ সামাজিক যোগাযোগ এ সময় বন্ধ হয়ে যায়।

কোয়ারেন্টাইন

ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার পর সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন অবস্থায় বসবাস করাই হলো কোয়ারেন্টাইন। বিশ্বের মানুষ করোনা মহামারির কারণে শব্দটির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে নিজেদের জীবনকে সংযুক্ত করতে পেরেছে।

সামাজিক দূরত্ব

এই একটি শব্দের সঙ্গে মানুষ এবার প্রথমবারের মতো বেশি পরিচিত হলো। এর মানে ভাইরাসের সংক্রমণ ও ছড়িয়ে পড়া রুখতে সমাজে মানুষ নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করবে। সে ঘরে হোক কিংবা বাইরে। আমরা দেখছি, কীভাবে মানুষ বিষয়টি অনুসরণ করে সমাজে নিজেদের কাজ করে যাচ্ছে।

ভ্যাকসিন

এমন একটি ওষুধ যা প্রয়োগে আর ভাইরাসের সংক্রমণ দেহে ঘটবে না। কোনো ভ্যাকসিন মূলত দেহে একটি প্রতিরোধকের কাজ করে। এর প্রয়োগে দেহে কোনো একটি নির্দিষ্ট ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়।

শনাক্তকরণ টেস্ট

এই পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়, দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি আছে কি নেই। এটি মূলত একটি এন্টিবডি টেস্ট অর্থাৎ থুথু ও কফ থেকে নমুনা নিয়ে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়।

পিপিই পড়ে আছেন চিকিৎসকরা

পিপিই

পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই), এক বিশেষ ধরনের পোশাক যা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে। এটি পরা ও খুলে নেয়ার বিশেষ পদ্ধতি আছে। এর জন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষণ। তাছাড়া এগুলো একাধিক ব্যবহার যোগ্যও নয়। হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী কিংবা খুব ছোঁয়াচে এমন ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে এই জামা ব্যবহার করেন অনেকে। তবে ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানা জরুরি। তা না হলে এর কার্যকারিতা থাকে না।

ভেন্টিলেটর

এটি মেডিকেল খাতে ব্যবহৃত একটি মেশিন। এর মাধ্যমে রোগীর দেহে কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়। করোনাভাইরাস তীব্রভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই মেশিনের সঙ্কট দেখা দিয়েছে।