করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত গোটা দুনিয়া। ক্ষুদ্র এ ভাইরাসের আক্রমণে পৃথিবী নামক গ্রহ পরিণত হয়েছে মৃত্যুপূরীতে। ভাইরাসটির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সারাবিশ্বে চলছে লকডাউন, কারফিউ ও অন্যান্য বিধি-নিষেধ। পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ নানা ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রতিষেধক না থাকায় এ সংক্রমণ থেকে বাঁচতে আপাতত সমাধান হলো সতর্ক থাকা। 

lift

শহুরে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো লিফট ও সিঁড়ি ব্যবহার। আর এই লিফট ও সিঁড়ির মাধ্যমেও আমাদের দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে কোভিড-১৯। চিকিৎসকরা বলছেন, লিফটের বাটন যদি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি স্পর্শ করে, সেখান থেকেই অন্যজনের শরীরে প্রবেশ করতে পারে ভাইরাসটি।

অন্যদিকে, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির ভবনের সিঁড়ির রেলিং কিংবা বাড়ি গেট ব্যবহারের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লিফট ও সিঁড়ি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করলে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হবার সম্ভাবনা খুব কম থাকে।

আসুন জেনে নেই, লিফট ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেসব সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

১. অবশ্যই মুখে মাস্ক পরে লিফটে প্রবেশ করবেন।

২. লিফটের গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়ানোর অভ্যাস অনেকেরই আছে। এ অভ্যাসটি ছাড়তে হবে করোনার ঝুঁকি থেকে বাঁচতে হলে।

৩. লিফটের বোতাম টেপার সময় টুথপিক, ইয়ারবাড বা টিস্যু পেপার ব্যবহার করুন। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মনে রাখবেন, অসতর্ক হয়ে বোতাম চাপলেই করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে যাবেন।

৪. খেয়াল রাখুন, যে জিনিসটি বোতাম টেপার ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছেন সেটা যাতে আপনার শরীরের কোনও অংশে কিংবা ব্যাগে না লেগে যায়। তাহলে কিন্তু শরীর ও ব্যাগে করোনার জীবাণু লেগে যাবে। যা আপনি বহন করে আপনার বেডরুম পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেন। এর পরিণতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

৫. লিফটের বোতাম চাপার পর পরই ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিনে ব্যবহৃত টিসু, টুথ পিক বা ইয়াবাডটি ফেলে দিন। লিফটের ভেতর যদি ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিন না থাকে তাহলে লিফট থেকে নেমে ডাস্টবিনে ফেলুন।

৬. এবার হাত সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলাটা খুবই জরুরি। চাইলে স্যানিটাইজারও ব্যবহার করতে পারেন।

লিফটের মতো সিঁড়ি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম মেনে চললে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকা যাবে।

সিঁড়ি ব্যবহারের সময় খেয়াল রাখবেন যাতে সিঁড়ির রেলিংগুলি কোনোভাবেই আপনার হাত, দেহের কোনো অংশ কিংবা সঙ্গে থাকা ব্যাগে লেগে না যায়। কারণ কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি রেলিং স্পর্শ করে থাকলে রেলিং থেকে আপনিও সংক্রামিত হতে পারেন।

অসবাধানে কখনো যদি রেলিংয়ে হাত কিংবা দেহের কোনো অংশ লেগেই যায় তাহলে অন্য কোথাও স্পর্শ না করে তৎক্ষণাৎ সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে ফেলুন।

Get the latest news on lifestyle, health, food, and more from our team of expert writers. From fitness tips and nutrition advice to travel guides and entertainment news, we cover the topics that matter most to you. Whether you're looking to improve your health, broaden your horizons, or just stay up-to-date with the latest trends, you'll find everything you need here.