আপনি পড়ছেন

মরণঘাতী করোনাভাইরাস চীনে প্রথম ছড়িয়ে পড়লেও সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালিয়েছে ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোতে। সে তুলনায় এশিয়ার দেশগুলোতে এর প্রভাব তুলনামূলক কম লক্ষ করা গেছে। এর কারণ খতিয়ে দেখেছে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট। বিভিন্ন গবেষকদের সহায়তা নিয়ে তারা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

traching temparature of a womenতাপমাত্রা পরিমাপ করা হচ্ছে এক নারীর

জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই মহামারিটি পাঁচ মাসে ২১৩টি দেশে সংক্রমণ ঘটিয়েছে। ৬০ লাখের বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে তিন লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষ। সংক্রমণ রোধে সরকারগুলো নিচ্ছে বিভিন্ন ব্যবস্থা। কিন্তু কোনোভাবেই বাগে আসছে না এই ভাইরাস।

তবে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে- ভাইরাসটির কারণে ইউরোপ ও আমেরিকান অঞ্চলে যে সংখ্যক মৃত্যু হয়েছে তার তুলনায় এশিয়ার দেশগুলতে বেশ কম মৃত্যু হয়েছে। এর কারণ কী?

pandemic symbolic pictureপ্রতীকী ছবি

গবেষকদের মতে, এশিয়ার কিছু অঞ্চলে ভাইরাসটি তীব্র আকারে ছড়িয়ে পড়ার আগেই সামাজিক দূরত্ব মেনে জনগণ চলাচল শুরু করে দিয়েছিল। তাছাড়া এসব অঞ্চলের মানুষের দেহে ভিন্নধর্মী রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ছিল- যা এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভালো কাজে দিয়েছে।

আবার এমনও হতে পারে যে, এশিয়াতে যে ভাইরাস ছড়িয়েছে তা ভিন্ন প্রকারের। যা সেখানে থাকা মানুষের মধ্যে তীব্র সংক্রমণ সংগঠিত করতে পারেনি।

সংখ্যা বিশ্লেষণ

সংখ্যা বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যায়, ইউরোপ-আমেরিকার তুলনায় এশিয়ায় এই ভাইরাসের বিস্তৃতি কত কম হয়েছে। চীনে মোট মারা গেছে পাঁচ হাজার মানুষ। যা প্রতি ১০ লাখে তিন জন। জাপানে এই সংখ্যা সাত জন, পাকিস্তানে ছয়, ইন্দোনেশিয়ায় তিন, থাইল্যান্ডে একের বেশি।

অন্যদিকে, জার্মানিতে প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে মারা গেছে ১০০ জন, কানাডায় ১৮০, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০০ জনের কাছাকাছি, যুক্তরাজ্যে, স্পেন ও ইতালিতে এই সংখ্যা ৫০০ জন।

প্রচলিত জ্ঞান

অন্যান্য ভাইরাসের মতো করোনাও বিযোজিত হয়। সেই কারণেই হয়তো এটি এশিয়াতে খুব বেশি প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। 

আরেকটি কারণ হতে পারে, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে এর আগে সার্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়নি। কিন্তু এশিয়ার বিভিন্ন দেশে সার্সের সংক্রমণ ঘটেছিল। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই এবার তারা খুব দ্রুত করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।

অনেক গবেষকেরই ধারণা ছিল, জাপান ও ভারতে ভাইরাসটি খুব বেশি সংক্রমণ ঘটাবে। কিন্তু পরিস্থিতি দেখে তারা বেশ অবাকই হয়েছেন। দুটো দেশেই ধারণার থেকেও অনেক কম সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।

আবহাওয়া ও সংস্কৃতি কি কারণ?

গরম ও আদ্র আবহাওয়া ভাইরাসটির সংক্রমণের মাত্রা দুর্বল করে দেয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। এশিয়ার অধিকাংশ দেশেই এই ধরনের আবহাওয়া বিরাজ করছে। একাধিক গবেষণা বলছে, গরম ও আদ্রতা করোনার বিস্তারকে ধীরগতির করে দেয়। কিন্তু এ নিয়ে বিতর্কও আছে।

যেমন- যদি বিষয়টা এ রকমই হতো তাহলে ব্রাজিল ও ইকুয়েডরের মতো দেশে ভাইরাসটি এত ক্ষতি করতে সক্ষম হতো না। কারণ এই দুটি দেশেই গরম ও আদ্র আবহাওয়া বিরাজ করে পুরো বছর।

ভিন্ন প্রকারের করোনার বিস্তার?

ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা থেকে দেখা যায়, ভাইরাসটি চীন থেকে ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ার আগে কীভাবে নিজের বৈশিষ্ট্য পাল্টে ফেলে।

হতে পারে চীন থেকে এশিয়ার অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ার আগে ভাইরাসটি কম আক্রমণাত্মক একটি রূপ নিয়েছে।

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.