লকডাউন উঠিয়ে নেওয়া কতটা বিপজ্জনক
- Details
- by আন্তর্জাতিক ডেস্ক
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মাত্রা কমতে শুরু করায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিথিল হতে শুরু করেছে লকডাউন। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে ফিরতে শুরু করেছে শিশুরা। খুলেছে বিভিন্ন সুপারসপ ও খোলা বাজার। তবে বিভিন্ন বিজ্ঞানীর মতে, সরকারগুলো খব দ্রুত লকডাউন তুলে নিচ্ছে। ইংল্যান্ডের উপ-প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা এই পদক্ষেপকে বিপজ্জনক মুহূর্ত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যে খুলতে শুরু করেছে খোলা বাজার
এই লকডাউন উঠিয়ে নেওয়া জনগণের জন্য কতটুকু বিপদ ডেকে আনতে পারে তা নিয়ে একটি বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি।
আমরা কতটুকু বিপজ্জনক অবস্থায় আছি?
যুক্তরাজ্যে লকডাউন শুরু হওয়ার আগ মুহূর্ত থেকে বর্তমান পরিস্থিতি বেশ ভালোই। যেদিন লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল সেদিন থেকে দৈনিক এক লাখ মানুষ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরিস্থিতি ছিল। সেই তুলনায় বর্তমানে দৈনিক আট হাজার মানুষের সংক্রমণ হচ্ছে।
লকডাউনে ফাঁকা লন্ডনের রাস্তা
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এক গবেষণা বলছে, যুক্তরাজ্যের লকডাউন থেকে বের হয়ে আসতে এখনো অনেক সময় অপেক্ষা করতে হবে। কারণ এখন সে রকম কিছু করা হলে খুব বাজে একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।
এর সমাধান হিসেবে গবেষণায় বলা হয়, চার মাত্রার লকডাউন কমিয়ে তা তিন মাত্রার লকডাউন করা যেতে পারে। তবে সামাজিক দূরত্বের নিয়ম কোনোভাবেই শিথিল করা যাবে না।
বিপদ কোথায়?
যুক্তরাজ্যের প্রধান বিজ্ঞান উপদেষ্টা স্যার প্যাট্রিক ভ্যালেন্স বলেন, আমাদের কাছে নতুনভাবে শুরু করার খুব বেশি রাস্তা খোলা নেই। পরিস্থিতির যে তথ্য আছে আপাতত তা খুব ভাবিয়ে তুলছে।
তিনি বলেন, লকডাউন শিথিল করার মানে হচ্ছে, মানুষ আগের তুলনায় বেশি বাইরে যাবে, একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে। এতে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার হার আবারো বেড়ে যেতে পারে পারে। তাছাড়া মানুষের মধ্যে অনুশাসন মানার বিষয়টি কতটুকু নিশ্চিত হওয়া যাবে তা নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন থেকে যায়।
বিজ্ঞানীরা কেন উদ্বিগ্ন?
করোনাভাইরাসের এই মহামারির শুরু থেকেই যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানী ও রাজনীতিবিদেরা একই পন্থা অবলম্বন করে যাচ্ছেন। কিন্তু বর্তমানে তাদের মতাদর্শে বেশ পার্থক্য লক্ষ করা গেছে।
সরকারকে উপদেশ দেয়া একটি ভাগ বলছে, টেস্ট ও আক্রান্ত রোগী খোঁজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
সেই দলের একজন অধ্যাপক ক্যালাম স্যাম্পল। তিনি বলেন, মাত্র করোনা পরিস্থিতির সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বের হয়ে আসলাম আমরা। এই মুহূর্তেই যদি সব স্বাভাবিক করা হয় তাহলে বিপদ আরো বড় হবে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশটিতে দৈনিক আট হাজার মানুষের সংক্রমণ হচ্ছে। লকডাউন শিথিল হলে তা অবশ্যই বেড়ে যাবে।
আক্রান্ত রোগীকে চিহ্নিত করার বিষয়টির কী হবে?
এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না যে, যুক্তরাজ্যে এই পদ্ধতি কতটুকু কার্যকর হয়েছে। সরকারের ইচ্ছা সবার জন্য লকডাউন শিথিল করে কিছু মানুষকে আইসোলেশনে রাখা। সেই লক্ষ্যে তারা টেস্ট ও রোগী শনাক্তের গতি বাড়াবে। আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসাদের দ্রুত আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করা।
বিবিসি বলছে, এই পদ্ধতি অবলম্বন করে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ বেশ কার্যকর ফলাফল পেয়েছে। সেই পথের দিকেই এগোতে চায় যুক্তরাজ্য।
দ্বিতীয় প্রাদুর্ভাব কি ছড়িয়ে পড়তে পারে?
এখন পর্যন্ত যে সংখ্যক মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে তা খুব কম মোট জনসংখ্যার তুলনায়। যার কারণে যে ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে তা যৎসামান্য।
এর মানে দ্বিতীয় প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। এটি সম্পূর্ণ সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.