ট্রাম্পের পোস্ট না সরানোয় চাকরি ছাড়লেন ফেসবুকের এক ইঞ্জিনিয়ার

ফেসবুকের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার টিমোথি অ্যাভেনি প্রকাশ্যে মার্ক জাকারবার্গের কঠোর সমালোচনা করে প্রতিষ্ঠানটির চাকরি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তার চাকরি ছাড়ার কারণ হলো— মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেসবুকের নীতি বিরোধী পোস্ট করলেও ফেসবুক তা সরায়নি। মার্ক জারবার্গ বরং ট্রাম্পের পোস্টের যৌক্তিকতা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। প্রতিষ্ঠানের এ রকম ভূমিকার কারণে চাকরিই ছেড়ে দিয়েছেন টিমোথি।

সম্প্রতি কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডে মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে চলছে বর্ণবৈষম্যবিরোধী বিক্ষোভ। এর মধ্যে কোনো কোনো এলাকার দোকানপাট লুট করেছেন আন্দোলনকারিরা। তাদেরকে উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প ফেসবুকে লিখেন, “লুট হলে গুলি করা হবে”।

ট্রাম্পের এই পোস্ট স্পষ্টত ফেসবুকের নীতিবিরোধী। তারপরও তার পোস্টটি সরায়নি ফেসবুক। এটি ফেসবুকের বেশ কয়েকজন কর্মী টুইটারে তাদের হতাশা ও মার্ক জাকারবার্গের সাথে দ্বিমত পোষণ করে পোস্ট করেছেন।

টুইটার সম্প্রতি ট্রাম্পের একটি পোস্টের সাথে এই সতর্কতা প্রকাশ করে যে, ট্রাম্পের টুইট হিংস্রতা সমর্থন করছে। কিন্তু ফেসবুক এই ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। টিমোথি তার চাকরি ছাড়ার বিষয়টি ফেসবুকে লিখে বলেন যে, অন্য যে কোনো ব্যবহারকারি এই ধরনের পোস্ট দিলে ফেসবুক তার স্ট্যাটাস ফিলে দিতো এবং ফেসবুক ব্যাবহার করাই তার জন্য কঠিন হয়ে যেতো।

টিমোথি তার ফেসবুকে আরো বলেন যে, মার্ক জাকারবার্গ সব সময় কর্মীদের নীতিবিরোধী স্ট্যাটাস ফেলে দেওয়া হবে বলে বক্তব্য দেন। কিন্তু ট্রাম্পের বিষয়ে তিনি যথাযথ ও নীতিসম্মত পদক্ষেপ নেননি, এবং এই কারণেই তিনি ফেসবুকের চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন।

কিন্তু তার জাকারবার্গ তার অবস্থান থেকে সরেননি। তিনি বরং বলেছেন, এই অবস্থান ফেসবুকের কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করতে পারে এবং সংবাদ মাধ্যমে তার সমালোচনা হতে পারে; কিন্তু তিনি তার অবস্থান থেকে সরবেন না।

এই ঘটনার পর অনলাইন থেরাপি প্রতিষ্ঠান টকস্পেস জানিয়েছে তারা ফেসবুকের সাথে চলমান ব্যবসায়িক চুক্তি সংক্রান্ত আলোচনা বন্ধ করে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ওরেন ফ্রাঙ্ক এ বিষয়ে বলেন, “আমরা ফেসবুকের সাথে কাজ করবো না। যে প্রতিষ্ঠান হিংস্রতা, বর্ণবৈষম্য ও মিথ্যার পক্ষে থাকে, তাদের সাথে কাজ সম্ভব নয়।”