আরবদের ক্ষেপালেন এরদোয়ান

ইরাকের উত্তরে কুর্দি এলাকায় বিমান ও সামরিক হামলা চালিয়েছে তুর্কি সামরিক বাহিনী। ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে ইরাক, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। বিশ্লেষকদের মতে, ইরাকের ভূখণ্ডে তুরস্কের এমন হঠকারী সামরিক উপস্থিতি ক্ষেপিয়ে তুলছে আরব রাষ্ট্রগুলোকে।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান

সম্প্রতি তুরস্ক দাবি করে, কুর্দিস্তান ওয়ার্কাস পার্টির (পিকেকে) সন্ত্রাসীদের ওপর অপারেশন ক্ল-ইগল নামে একটি বিমান হামলা চালানো হয়েছে। সন্ত্রাসীদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র, ভারি আর্টিলারি নিক্ষেপ করা হয়েছে।

আরব নিউজের বরাতে জানা যায়, এই হামলাটি হয়েছিল ইরাকের উত্তরাঞ্চলের প্রদেশ সিনিজারে। তুর্কি সেনারা এফ-১৬ ফাইটার জেট নিয়ে সেখানে হামলা করেছে। এছাড়া তুর্কি সেনাদের বিশেষ একটি দল ভারি আর্টিলারি নিক্ষেপ করেছে সেখানে।

ইরাক এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা এই ঘটনার পর একাধিকবার তুর্কি রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করেছে। মন্ত্রণালয় থেকে নিন্দার একটি লিখিত কপি দেয়া হয়েছে তুর্কি রাষ্ট্রদূতকে। ইরাকি সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ এনে এতে বলা হয়, ইরাকি সীমান্তের মধ্যে বোমা হামলা ও আক্রমণ করা সরাসরি সার্বভৌমত্বকে লঙ্ঘন করার শামিল।

তুর্কি বিমানবাহিনির এফ-১৬ ফাইটার জেট

তুরস্কের এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবও। ইরাকি অঞ্চলে তুরস্ক ও ইরানের বিভিন্ন হামলার নিন্দা করে সৌদি আরব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আমরা বাগদাদকে তার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সহায়তা করতে ইচ্ছুক। একই সাথে সেই অঞ্চলে নিরাপত্তা ও শান্তি স্থায়ীকরণেও আমরা কাজ করতে চাই।

লন্ডনের কিংস কলেজের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ পার্ক বলেন, তুরস্কের হামলায় আরব অঞ্চলের এমন প্রতিক্রিয়া আরো বিস্তরভাবে ভাবতে হবে। কারণ মুসলিম ব্রাদারহুডে তুর্কি সহায়তা, ইরানকে কাঠগড়ায় দাড় করানোয় অনীহা, সিরিয়ায় প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ, সোমালিয়া ও কাতারের সঙ্গে দেশটির সামরিক সম্পর্ক, লিবিয়া ইস্যুতে মতোবিরোধ নিয়ে আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কে টানাপোড়ন দেখা দিয়েছে। সে পরিস্থিতি উন্নতির কোনো লক্ষণ নেই, বরং নিকট ভবিষ্যতে তা আরো খারাপ ও অস্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা আছে।