স্বাস্থ্যমন্ত্রী: করোনা চিকিৎসায় ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন নেই

দেশে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ভেন্টিলেটরের কোনো প্রয়োজন নেই বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে আইন মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাটাই প্রস্তাব নিয়ে সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভেন্টিলেটরে যাওয়া রোগীদের প্রায় সবায় মৃত্যুবরণ করেছেন। সারাদেশের ৪০০ ভেন্টিলেটরের মধ্যে সাড়ে তিনশ ব্যবহারই হয়নি। তাই করোনা চিকিৎসায় ভেন্টিলেটরের কোনো প্রয়োজন নেই বলে মনে করি।

চিকিৎসা ব্যবস্থা ও ওষুধ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেছে দাবি করে তিনি বলেন, করোনা রোগীদের কী চিকিৎসা লাগবে তা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার অবস্থান পরিবর্তন করেছে। ফলে আমাদেরও পরিবর্তন করতে হয়েছে। পিপিই লাগবে, এটা কিন্তু কেউ আগে বলে দেয়নি। যখন বলা হলো তখন সারা বিশ্ব লকডাউন হয়ে যাওয়ায় আমরা পিপিই পাচ্ছিলাম না।

এমনকি পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতিও পাচ্ছিলাম না। পরবর্তীতে আস্তে আস্তে সেগুলোর ব্যবস্থা করেছি। ফলে এখন অভিযোগও নেই। ইতোমধ্যে প্রায় ৩০ লাখ পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে, প্রায় ১০ হাজার নতুন সিলিন্ডার বানানো হয়েছে। এখন হাইফ্লো অক্সিজেনের কথা বলা হচ্ছে। সেগুলোও ইতোমধ্যে এক হাজার অর্ডার দিয়েছি। সরকার কাজ করেছে বলেই মৃত্যুর হার কম, যোগ করেন জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, সংসদ সদস্যরা কেবল আমাদের দোষারোপ করে গেছেন। অথচ আমাদের কাজগুলো তাদের বক্তব্যে আসেনি। করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। চীনে ভাইরাসটি দেখা দেয়ার পরপরই পোর্টগুলোতে স্ক্রিনিংসহ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রত্যেক জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে কমিটি করা হয়েছে।

এসব ব্যবস্থা গ্রহণের ফলেই দেশে মৃত্যু হার কম দাবি করে মন্ত্রী বলেন, পিপিই কিভাবে পরতে হয় এবং খুলতে হয়, এই বিষয়টি জানা না থাকার কারণেই চিকিৎসকরা বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। পরে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করায় আক্রান্তের হার কমে এসেছে।