বিজিবি: ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা করছে বিএসএফ

সীমান্তে গরু পাচারের ক্ষেত্রে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সহায়তা করে থাকে, এমন গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়েছিল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে। তাদের এমন বক্তব্য সম্বলিত বিবৃতির বরাতে সংবাদ প্রকাশ করে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসসহ দেশটির বেশ কিছু গণমাধ্যম। এবার বিজিবি ওই বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ পাঠিয়েছে। প্রতিবাদে বলা হয়, বিএসএফ নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতেই বিজিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে।

প্রতিবাদলিপিতে আরো বলা হয়- আমরা (বিজিবি) দ্ব্যর্থহীনভাবে বলছি, ‘বিএসএফের অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট, বরং তাদের ব্যর্থতার কারণেই সীমান্তে গরু পাচার হয়। ভারতীয় গরু পাচারকারীদের ব্যাপারে বিএসএফের কোনো তৎপরতা না থাকায় এই ঘটনা উত্তরোত্তর বাড়ছে। ভারতীয় পাচারকারীরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় এই কাজে উৎসাহী। কেন বিএসএফ তাদেরকে পাকড়াও করে না, সেটা একটা বড় প্রশ্ন।’

১৩ জুলাই বিএসএফের বিবৃতির বরাত দিয়ে ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সাপোর্টস ক্যাটেল স্মাগলিং’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদে বলা হয়েছে, প্রথমে প্রাণীগুলোর চোখ বেঁধে দেওয়া হয়। তারপর কলাগাছের গুড়ির সঙ্গে বেঁধে পানিতে ভাসিয়ে দেয় পাচারকারীরা। ভাসতে ভাসতে সেগুলো চলে আসে বাংলাদেশ সীমান্তে। তারপর স্পীডবোটে করে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হয়। এই পুরো প্রক্রিয়ায় একজন পাচারকারী পান ১০ হাজার টাকা করে। চুক্তি অনুযায়ী বিজিবি সদস্যরাও সুবিধা নিয়ে থাকেন।

এর আগে ‘ভারতের জমি দখল করেছে বিজিবি’ বিএসএফের এমন মনগড়া অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছিল বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। সপ্তাহ না ঘুরতেই বিএসএফ আবারো বিজিবিকে জড়িয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিজিবির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বিএসএফের এসব মন্তব্যের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় প্রতিবাদ প্রয়োজন।