ভিয়েতনামে হঠাৎ করেই করোনাভাইরাসের প্রকোপ

যে দেশগুলো করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকিয়ে বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছিলো, ভিয়েতনাম তাদের মধ্যে অন্যতম। জুলাই মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত ভিয়েতনামে করোনাভাইরাসের কারণে কোনো মৃত্যু রেকর্ড হয়নি। এমন কি স্থানীয়ভাবে করোনাভাইরাস বিস্তারের কোনো খবরও পাওয়া যায়নি।

সেই দেশে হঠাৎ করেই গত এক সপ্তাহে অন্তত ৯৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে চিহ্নিত হয়েছেন। মারা গেছেন একজন।

অথচ এর আগে দর্শকভর্তি মাঠে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশটিতে। দোকানপাটে ছিলো ক্রেতাদের ভিড়। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতেও স্থানীয় লোকজনে ভরপুর ছিলো। মনে হয়েছিলো করোনাভাইরাসের ধাক্কা ভালোভাবেই সামলে ফেলেছে দেশটি।

মাই জুয়ান নামের একজন উদ্যোক্তা এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন যে, ভিয়েতনাম পুরোপুরি সাধারণ জীবন যাপন করছে। দেশটিতে করোনা ভাইরাসের কোনো ধরনের প্রকোপ নেই বলেও আনন্দ প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি দা নাং শহরে বাস করেন। এই শহরটিই ভিয়েতনামের করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার মূল কেন্দ্র বলে ধরা হচ্ছে। যে ৯৯ জন এরই মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের বেশির ভাগই দা নাং শহরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

অথচ গত কয়েক মাস ধরে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখায় সফল দেশ হিসেবে বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে কমিউনিস্ট দেশটি।

মার্চ মাসের পর দেশটিতে বিদেশি কোনো ব্যক্তি ঢুকতে পারেননি। শুধু মাত্র নিজ দেশের নাগরিকদের তারা দেশে ঢোকার অনুমতি দিয়েছে। তাদেরকেও দেশে ঢোকানো হয়েছে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা পর। বিদেশ থেকে আসা নাগরিকদের কঠোরভাবে কোয়ারিন্টেনেও রেখেছে ভিয়েতনাম।

তবে এই পরিস্থিতির জন্য ভিয়েতনামের ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা মোটেই আতঙ্কিত নন। তারা বলছেন যে, যে সব দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমে এসেছে, সে সেব দেশেও হঠাৎ করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।

অধ্যাপক মাইকেল টুলে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন যে স্পেন, ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশ করোনাভাইরাস দারুণ দক্ষতায় নিয়ন্ত্রণ করেছিলো। তারপরও দেশগুলোতে হঠাৎ করেই ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে গেছে। তিনি আরো বলেন যে, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভিয়েতনাম কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে।