ধরুন, আপনি কোথাও পরীক্ষা দিতে গিয়েছেন কিংবা অফিসের বড় কোনো মিটিংয়ে আছেন। কম-বেশি অনেকেই এসময় দুশ্চিন্তায় থাকেন। শুরু হয় হাত ঘামানো। তবে আবহাওয়াজনিত কারণেও একই সমস্যায় পড়েন অনেকে।

hand sweatঘামানো হাত

সমস্যাটা যে কারণেই হোক না কেনো, বিশেষজ্ঞদের মতে, হাত ঘামাটা খুবই স্বাভাবিক। সাধারণত মানসিক চাপ তৈরি করে এমন পরিস্থিতির একটি সাধারণ প্রতিক্রিয়া হচ্ছে হাত ঘামা। তাহলে চলুন জেনে নিই হাত ঘামার পেছনে আর কী কী কারণ রয়েছে এবং এই সমস্যার প্রতিকার আছে কি না।

হাত ঘামার কারণ

ঘাম শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি। গরমে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে ঘাম হয়। এজন্য মোটা কাপড় পরলে, ভারী কোনো কাজ করলে কিংবা ব্যায়াম করলে শরীরে ঘাম হয়। এছাড়াও মানসিক চাপের কারণেও ঘাম হয়। যেমন- পরীক্ষা নিয়ে চিন্তা কিংবা চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় স্ট্রেস থেকে ঘাম হয়।

কিন্তু হাতের তালুতে ঘাম হওয়ার কারণ কী?

হাত ঘামার প্রাথমিক কারণ হিসেবে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। তবে অতিরিক্ত স্নায়বিক উত্তেজনার কারণে ঘাম হয়ে থাকে। এ ছাড়া আরও নানা কারণে হাত ঘেমে থাকে। যেমন- পারকিনসন্স ডিজিজ, থাইরয়েডে সমস্যা, ডায়বেটিস, জ্বর, শরীরে গ্লুকোজের স্বল্পতা, মেনোপোজের পর প্রভৃতি। অনেক সময় শরীরে ভিটামিনের অভাব থাকলে হাত-পা অতিরিক্ত ঘামতে পারে। আবার মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা ও জেনেটিক কারণে হাত ঘামে। শুধু হাত নয়, পায়ের পাতা, মুখ এবং বগলও ঘামে।

অনেক বিশেষজ্ঞের মতে ভয় ও দুশ্চিন্তার অনুভূতি থেকেই মূলত হাতে ঘাম হয়ে থাকে। এজন্য একে ‘স্ট্রেস সোয়েট’ বলা হয়ে থাকে। বিশেষ করে বক্তৃতা দেওয়ার সময়, আলোচনা সভায় কথা বলার সময় কিংবা হুট করে ভয় পেলে এভাবে ঘাম হয়। শুধু তাই নয়,অতিরিক্ত ঝাল খাবার খেলে, কফি,ও ধূমপান করলেও এমনটা হতে পারে।

কমানোর উপায়

মানসিক চাপের ওপর কারোই নিয়ন্ত্রণ থাকে না এজন্য হুট করে হাত ঘামা শুরু করলে আসলে কিছু করার থাকে না। তবে কিছু কাজের মাধ্যমে এই সমস্যা কিছুটা কমানো যেতে পারে।

খুব বেশি চিন্তায় থাকলে গভীরভাবে নিঃশ্বাস নিন এবং কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখুন এরপর আস্তে করে ছেড়ে দিন। এইভাবে কিছুক্ষণ নিঃশ্বাস নিলে স্ট্রেস কমতে পারে। এই প্রক্রিয়াটা খুবই সাধারণ হলেও স্ট্রেস কমাতে বেশ সাহায্য করে।

ব্যাগে বা ব্রিফকেসে অল্প পরিমাণে বেকিং পাউডার বা কর্নস্টার্চ রাখতে পারেন। যখন আপনি বুঝবেন যে আপনার স্ট্রেস হতে পারে, তখন স্ট্রেস বাড়ার আগে অল্প পরিমাণে হাতের তালুতে মেখে নিন। এটি আপনার হাত ঘামা কমাতে সাহায্য করবে।

এছাড়াও শরীর ঠাণ্ডা করতে এবং ঘাম নিয়ন্ত্রণে আনতে পানি একটি চমৎকার উপাদান। বিশেষ করে যাদের শরীরের তাপমাত্রা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় তাদের জন্য। হাত-পায়ের তালু ঘামা কমিয়ে আনতে সারাদিনে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। এতে করে শরীর ঠাণ্ডা থাকবে এবং ঘাম প্রতিরোধ হবে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দৈনিক কমপক্ষে ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করুন।

Get the latest news on lifestyle, health, food, and more from our team of expert writers. From fitness tips and nutrition advice to travel guides and entertainment news, we cover the topics that matter most to you. Whether you're looking to improve your health, broaden your horizons, or just stay up-to-date with the latest trends, you'll find everything you need here.