অবশেষে রিমান্ডে ওসি প্রদীপসহ ৩ জন

কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে রিমান্ডে নেওয়া হলো ওসি প্রদীপ, এসআই লিয়াকত ও নন্দদুলাল রক্ষিতকে। এই তিনজনই সিনহা হত্যার প্রধান আসামী। এরমধ্যে এসআই লিয়াকতের গুলিতেই নিহত হন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এই ৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছিল এখন থেকে ১২ দিন আগে। এরমধ্যে অন্যান্য আসামীদের রিমান্ড কার্যকর করা হলেও প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দদুলালকে রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছিল না। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে র‌্যাব আশ্বস্ত করে বলেছিল, কৌশলগত কারণে আগে গৌণ আসামীদের আগে রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে। সে অনুযায়ী, অবশেষে এই তিন আসামীকে আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার কিছু পরে রিমান্ডে নেওয়া হয়।

৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ। পুলিশের পক্ষ থেকে ওই সময় বলা হয়, রাশেদ সিনহা তার পরিচয় দিয়ে ‘তল্লাশিতে বাধা দেন’। এর পর তিনি ‘পিস্তল বের করলে’ দায়িত্বরত পুলিশ তাকে গুলি করে। যদিও র‌্যাবের তদন্তে পরবর্তীতে বেরিয়ে এসেছে, ওই সময় মেজর সিনহার কাছে কোনো অস্ত্র ছিল না।

এই ঘটনায় প্রথমে পুলিশ মামলা করেছে। পরে টেকনাফ উপজেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারহার আদালতে ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মেজর সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। সেই মামলাতেই অবশেষে রিমান্ডে নেওয়া হলো টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহার হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী, উপ-পরিদর্শক নন্দ দুলাল রক্ষিতকে।