তুর্কি সমস্যা মেটাতে মার্কিন হস্তক্ষেপ চায় ইরাক

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-খাদিমি ইরাকি ভূমিতে তুর্কি হামলাকে অগ্রহণযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন। এই সমস্যার সমাধানে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা চেয়েছেন। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে এ আর্জি জানান মুস্তাফা আল খাদিমি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডানে) ও ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-খাদিমি (বামে)

আরব নিউজের বরাতে জানা যায়, জুনের মধ্যভাগ থেকেই ইরাকের উত্তরাঞ্চলে তুর্কি কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করে আসছে বাগদাদ ও আঙ্কারা। কিন্তু সে আলোচনায় কোনো সুরাহা করতে পারছে না ইরাক। তবে নিজস্ব সীমানায় পার্শ্ববর্তী দেশের অভিযান ও হামলাকে তারা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। কিন্তু এতেও তুর্কি কার্যক্রম বন্ধ করতে পারেনি।

এ বিষয়ে মধ্যপ্রাচ্য রাজনীতি বিশ্লেষক জো ম্যাকারোন বলেন, তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সম্পর্কই কেবল এখানে কাজে আসতে পারে। এ জন্যই ইরাক হন্য হয়ে মার্কিন সাহায্যের আর্জি জানাচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডানে) ও ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-খাদিমি (বামে)

ইরাকের উত্তরাঞ্চলে তুরস্ক সীমান্তবর্তী এলাকায় কুর্দি ওয়ার্কাস পার্টির (পিকেকে) সশস্ত্র সদস্যদের সঙ্গে গত কয়েকমাস ধরেই সংঘাত করে আসছে তুর্কি বাহিনী। ১১ আগস্ট তুরস্কের ড্রোন হামলায় পিকেকে’র সদস্য ছাড়াও ইরাক বর্ডার গার্ড বাহিনীর দুই সেনা নিহত হয়।

এর পরেই নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয় দুই দেশের মাঝে। তুরস্ক হতে মন্ত্রী পর্যায়ের একটি দল ইরাক সফর করার কথা থাকলেও তা বাতিল করে ইরাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুধু তাই নয়, বাগদাদে নিযুক্ত তুর্কি রাষ্ট্রদূতকেও তলব করে দেশটি। এ বিষয়ে ম্যাকারন বলেন, পিকেকে নিয়ে তুরস্ক ও ইরাকের যে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে তাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করে খুব বেশি কিছু করতে পারবে না। আমার মনে হয়, ট্রাম্প এ বিষয়ে তেমন গুরুত্ব দেবেন না।