অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে ৩৮০ তিমির মৃত্যু!

দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় গণজাগরণে কমপক্ষে ৩৮০টি তিমি মারা গেছে। উদ্ধারকারীরা মাত্র কয়েক ডজন বেঁচে যাওয়া তিমিকে মুক্তি দিতে সক্ষম হয়েছেন। আজ বুধবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

তাসমানিয়ার পশ্চিম উপকূলে তিমিদের গণজাগরণ

ম্যাককুরি হার্বারে আটকে থাকা অন্তত ৪৬০টি দীর্ঘ পাইলট তিমির কারণে রাস্তাঘাট ও অল্প সংখ্যক জনবহুল তাসমানিয়ার পশ্চিম উপকূল এখন ধ্বংস হয়ে গেছে।

তাসমানিয়ার পার্কস এবং ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিসের ম্যানেজার নিক ডেকা বলছেন, একটা সঠিক গণনা পাওয়া গেছে এবং এটা নিশ্চিত যে ৩৮০টি তিমি মারা গেছে। এখনো প্রায় ৩০টি বেঁচে আছে এবং সবচেয়ে ভালো খবর হলো- আমরা ৫০টি তিমিকে সংরক্ষণ করতে পেরেছি।

গত সোমবার প্রথম স্তন্যপায়ী প্রাণীগুলোর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। তখন তাদের কেবল নৌকা দিয়ে বালুচর থেকে মুক্ত করার প্রচেষ্টা শুরু করা হয়েছিল।

এটি তাসমানিয়ায় রেকর্ড করা সর্বকালের বৃহত্তম গণজাগরণ, যা মূল ভূখণ্ডের অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র এবং সম্ভবত দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড়।

তিমিদের উদ্ধার করা হচ্ছে

৬০ জন সংরক্ষণবাদী, দক্ষ স্বেচ্ছাসেবক এবং স্থানীয় ফিশ ফার্মের একটি উদ্ধারকারী দল স্থানীয়ভাবে তিমিগুলো উদ্ধারে কাজ করছেন। উদ্ধারকারীরা দুই দিন ধরে এখনো জীবিত প্রাণীগুলোকে উদ্ধার করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন এবং নৌকার মাধ্যমে তাদের সমুদ্রে ফিরে যেতে সাহায্য করছেন।

উদ্ধারকারীরা কাজের দিকে মনোনিবেশ করেছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার বুকসমান ঠাণ্ডা পানিতে নেমে কাজ করছে। তাই আমরা ক্রুদের ঘোরানোর চেষ্টা করছি। এটি শারীরিক এবং মানসিক উভয় দিক দিয়েই কষ্টকর, যোগ করেন নিক ডেকা।

প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তিমিগুলোকে আটকা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এমন আরো আটকা পড়েছে কি না তা দেখার জন্য আশপাশের জায়গাগুলোতেও অনুসন্ধান চালাচ্ছেন কর্মকর্তারা।

তিমিদের উদ্ধার করা হচ্ছে

আরব নিউজের খবরে বলা হয়, তিমিদের এভাবে গণজাগরণের কারণ নিয়ে যুগ যুগ ধরে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন। কিন্তু আসল রহস্য এখনো অজানাই রয়ে গেছে। তবে কিছু গবেষক বলছেন, খাবারের সন্ধানে প্রাণীগুলো উপকূলের কাছাকাছি এসে আটকা পড়ে থাকতে পারে। আর সেটিকে অনুসরণ করে আরো তিমি এসে সেখানে জড়ো হয়।

তাসমানিয়ার পরিবেশ বিভাগের সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী ক্রিস কার্লিয়ন বলেন, এটি একটি প্রাকৃতিক ঘটনা। যা দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ান এবং প্রতিবেশী নিউজিল্যান্ড উভয় দেশেই নিয়মিতভাবে ঘটে থাকে।