এবার ‘আনুষ্ঠানিকভাবে’ তুর্কি পণ্য বর্জনের ডাক সৌদির

আঞ্চলিক শক্তি তুরস্ক ও সৌদি আরবের মধ্যকার পণ্য প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে বলে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিভিন্ন অভিযোগ আসছিল। এর মধ্যেই এবার তুরস্কের সব ধরনের পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরবের চেম্বার অব কমার্স। এক টুইট বার্তায় সৌদি নাগরিকদের প্রতি এ আহ্বান জানান চেম্বার অব কমার্সের প্রধান আজলান আল আজলান।

সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ও তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। পুরনো ছবি

তিনি বলেন, আমাদের নেতৃত্ব, দেশ এবং নাগরিকদের বিরুদ্ধে তুর্কি সরকারের অব্যাহত বৈরিতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে প্রতিটি সৌদি ব্যবসায়ী এবং ভোক্তার উচিত তুরস্কের সব কিছু বয়কট করা। আমদানি, বিনিয়োগ বা পর্যটন যাই হোক না কেনো।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশ দুটির ব্যবসায়ীরা ধারণা করছিলেন যে, সৌদি আরব অনানুষ্ঠানিকভাবে তুর্কি পণ্য বর্জন করা শুরু করেছে। যা সাম্প্রতিক সময়ে এসে প্রবল আকার ধারণ করে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সৌদি আমদানিকারক রয়টার্সকে জানান, তিনি এ বছর তুরস্ক থেকে আমদানি করা কন্টেইনার খালাস করার আগে শুল্ক নিয়ে তিন মাস রেখেছিলেন। তখন শুল্ক কর্মকর্তারা অনানুষ্ঠানিকভাবে তাকে জানান, তুরস্ক থেকে যেন আর সরাসরি পণ্য আমদানি না করেন।

এর আগে গত জুলাই মাসে মিডিল ইস্ট আই এক প্রতিবেদনে বলেছিল, তুরস্ক থেকে তাজা ফলমূল এবং শাকসবজি বহন করা ট্রাকগুলোকে সীমান্তে আটকে দেয়া হচ্ছে। এগুলো পার হতে বাধা দিচ্ছে সৌদি আরব।

ধারণা করা হচ্ছে, গত বৃহস্পতিবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের এক বক্তব্যকে কেন্দ্র করেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরবের চেম্বার অব কমার্স। যদিও কোনো দেশের নামই তিনি উল্লেখ করেননি।

সেদিন তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, আরব উপসাগরের কিছু দেশ তুরস্ককে টার্গেট করেছে। তারা এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার নীতি অনুসরণ করছে। অবশ্য এটা ভুলে যাওয়া উচিত হবে না, যে দেশগুলোকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, গতকাল সেগুলোর অস্তিত্ব ছিল না। সম্ভবত আগামীকালও থাকবে না। তবে আল্লাহর অনুমতিক্রমে তুর্কি পতাকা চিরতরে উড়তে থাকবে।